রাজ্য

‘আত্মসমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে তৃণমূলের’, বৈঠকে মমতার কাছে ধমক খাওয়ার পরই বিস্ফোরক তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ

কালীঘাটের বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে ধমক খেয়েছিলেন তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। এরপর সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। তাঁর কথায়, “দলের একটা এমন সময় চলছে যেখানে আত্মবিশ্লেষণ (self evalauation) বা আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন। তার শুরুটা আমি নিজেকে দিয়ে করেছি” অর্থাৎ শুধুমাত্র তাঁরই নয়, গোটা দলেরই সংস্কারের সময় এসেছে বলে দাবী তৃণমূল যুব সভানেত্রীর। তাঁর এহেন মন্তব্যে দলের অন্দরে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে।

আজ, শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি সায়নী ঘোষ আরও বলেন, “আমি নিজেকে দিয়ে আত্মবিশ্লেষণের শুরু করলাম। নিজেকে নিয়ে ভেবেছি। আমার দিক থেকে আর কী কী করা যায়, কী কী করা যায়নি এবং আগামীদিনে আমি আর কী কী করব। দলের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুব সংগঠনের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। সেখানে যদি মনে করে থাকি আমার নিজের কোনও খামতি রয়েছে। তা বলতে কোনও দ্বিধাবোধ থাকা উচিত নয়”। তাঁর সংযোজন, “ক্ষমা চাইতেও কোনওরকম লজ্জা নেই”।

গতকাল, শুক্রবার কালীঘাটে সমস্ত বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দলের সংগঠন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। সংগঠনের কাজ নিয়ে সায়নী ঘোষকে বেশ ধমক দেন মমতা। দলনেত্রীর রোষের মুখে পড়ে ক্ষমাও চান সায়নী। তাঁর কথায়, “আমি সংগঠন মজবুত করতে পারিনি। যে সময়টা দেওয়া উচিত ছিল, সেটা দিতে পারিনি। আগামীদিনে সময় দেব”।

ঘনিষ্ঠ মহলে সায়নী জানিয়েছেন যে শ্যুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে সংগঠনের কাজ সামলাতে পারেন নি তিনি। একথা কালীঘাটের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সায়নী জানিয়েছেন। এবার আগামীদিনে যুব সংগঠনের কাজ এবং ছবির শ্যুটিং, দু’দিক সামলে চলার ক্ষেত্রে সায়নী ঘোষ কী পরিকল্পনা করছেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

 এদিন সায়নী আরও জানান, “দু’একজনকে দিয়ে গোটা সংগঠনকে বিচার করে লাভ নেই। আমাদের ছাত্র-যুবরা রাস্তায় নেমে কাজ করছে। আমিও গত ২ বছরে ৯০ শতাংশ জেলায় ঘুরেছি। বল্ক, টাউন লেভেলে জনসংযোগ করেছি। আর দু’একটা জেলা বাকি আছে”।

Related Articles

Back to top button