West Bengal

চাকরির লোভ দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ, টাকা ফেরত চাইতেই যুবতীকে মারধর, পাল্টা তৃণমূল নেতাকে গণধোলাই এলাকাবাসীর

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে রাজ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে নানান বিতর্ক চলছে। এর জেরে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ শাসক দলের একাধিক নেতা। অনেক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই চাকরির লোভ দেখিয়ে লোকজনের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এবার তেমনই এক ঘটনা ঘটল। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইতেই যুবতীকেই মারধর তৃণমূল নেতার। এরপরই ওই তৃণমূল নেতাকে গণধোলাই দেন এলাকাবাসীরা।

বিজ্ঞাপন

সূত্রের খবর, হরিশ্চন্দ্রপুরের সংগঠন পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল গাফফার পেশায় দর্জির কাজ করতেন। কিছুদিন আগেই মারা গিয়েছেন  তিনি। তাঁর স্ত্রী অঙ্গনওয়াড়িতে রান্নার কাজ করেন। তাঁর দুই মেয়ের নাম পুতুল নেশা পারভিন এবং হাজেরা খাতুন। অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে দুই বোনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা তথা জয়হিন্দ বাহিনীর জেলা সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম। 

বিজ্ঞাপন

জানা গিয়েছে, ওই দুই বোনের একজনকে অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার ও অন্যজনকে অঙ্গনওয়াড়ির শিক্ষিকার চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়েছিলেন জাহাঙ্গির। তিনি বলেছিলেন যে শাসকদলের সঙ্গে তাঁর ভালো কানেকশন রয়েছে। এর জন্য লাগবে ১৬ লক্ষ টাকা। টাকা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই চাকরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন জাহাঙ্গির।

বিজ্ঞাপন

সেই কারণেই নিজেদের শেষ সম্বল জমি বিক্রি করে ও সঞ্চিত অর্থ থেকে ওই তৃণমূল নেতাকে টাকা দেন দুই বোন। কিন্তু চাকরি তো দূর, এই ঘটনার দেড় বছর কেটে গেলেও তারা টাকা আর ফেরত পান নি। টাকা চাইতে গেলে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি পুতুল খবর পান যে জাহাঙ্গির হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আসছেন। সেখানে গিয়ে টাকার দাবী করেন পুতুল। কিন্তু অভিযোগ, সেই সময় তাঁর গলা টিপে ধরেন ওই নেতা। প্রকাশ্য রাস্তায় এক মহিলাকে ওভাবে গলা টিপে ধরতে দেখে ছুটে আসে আশেপাশের লোকজন।

ওই তৃণমূল নেতাকে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসীরা। পুতুলকে ভর্তি করা হয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন পুতুল। টাকা ফেরতের দাবীও তুলেছেন তিনি। তাঁর গায়ে হাত তোলার জন্য ওই তৃণমূল নেতার কঠোর শাস্তির দাবী করেছেন তিনি। এদিকে, তৃণমূল নেতার দাবী, তিনি ওই দুই বোনের থেকে কোনও টাকা নেন নি।

বিজ্ঞাপন

পুতুল নেশা পারভিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “আমি ১৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। আমাকে আর আমার বোনকে আইসিডিএসের চাকরি দেবে বলে টাকা নিয়েছিল জাহাঙ্গির আলাম। ও তৃণমূল করে। বাড়িতে টাকা চাইতে গেলে ওর বউ মারছে। বলছে আর টাকা চাইতে আসবে না। আজ ওকে দেখতে পেয়ে টাকা চাইতে গেলে আমাকে মারধর করে”।

হরিশচন্দ্রপুর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, “ঘটনার কথা আমি শুনেছি। আমরা দলগতভাবে মহিলার পাশে রয়েছি। পুলিশকেও আইনতভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তৃণমূলের নাম করে অনেক দালাল টাকা তোলে। ও যে দলেরই হোক, দোষী হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। দল কখনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না”।

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading