১৮ বছর হয়নি, অথচ জব কার্ড পেয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতার মেয়েরা, অভিযোগে সরব স্থানীয়রা

খুদে পড়ুয়া, তাদের এখন ১৮ বছর হয়নি, কিন্তু তাদের নামে জব কার্ড করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিষ্ণুপুরে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি ব্লক প্রশাসনের আছে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা। এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের কাছে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিষ্ণুপুরের বেলশুলিয়া পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা আবু তাহের তাঁর ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া মেয়ের জন্য জব কার্ড বানিয়েছেন। অন্যদিকে, বেলশুলিয়ার অঞ্চল সভাপতি কাশেম শেখের মেয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে, সে- জব কার্ড পেয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- হঠাৎই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষের, কেন এমন সিদ্ধান্ত? কারণ জানিয়ে চিঠি অভিষেককে
এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, একজন স্কুল পড়ুয়া কীভাবে জব কার্ড অএয়ে যায়? যাদের বয়স এখনও ১৮ বছর হয়নি, তাদের নামে জব কার্ড হল কীভাবে? এমনও অভিযোগ করা হয়েছে যে যাদের নামে জব কার্ড হওয়ার কথাই নয়, তাদের অনেকের নামেই জব কার্ড হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কিছুদিন আগেই বিষ্ণুপুরের মড়ার গ্রাম থেকে জব কার্ড তৈরির যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছে একজন। তাই বেলশুলিয়ায় এমন ঘটনা ঘটতেই পারে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরের বিডিও শতদল দত্ত জানান, পঞ্চায়েতের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কোনও বেনিয়ম হলে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এই ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে তোপ দাগতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল অগস্তি জানিয়েছেন, “তৃণমূলের আমলে বেনিয়মই নিয়ম হয়ে গিয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা যুক্ত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন”।
অন্যদিকে তৃণমূলের বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় জানান, যদি কোনও বেনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে, সেই পঞ্চায়েত নেতাদের দাবী যে নিয়ম মেনেই তাঁদের মেয়ের নামে জব কার্ড করানো হচ্ছে।