TMC harassed Press: মমতার জনসভায় সাংবাদিক ‘পেটাল’ তৃণমূল! ধিক্কার রাজ্যজুড়ে
সাংবাদিকরা তাদের নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে দিনভর খবর সংগ্রহ করে পেশ করে চলেন। এই কাজ করতে গিয়ে তাদেরকে অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হয় তবে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে সাংবাদিকদের শাসকের নিগ্রহের মুখে বারংবার পড়তে হচ্ছে তা চিন্তায় ফেলেছে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের। আজ হবিবপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জনসভায় সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা আরো একবার প্রমাণ করলো এই রাজ্যে গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতা বলে আর কিছু অস্তিত্ব নেই।
আজ হবিবপুরে জনসভা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই খবর সংগ্রহ করতে এসেছিলেন বিভিন্ন মিডিয়া হাউজের প্রতিনিধিরা। সেইমত সিএন নিউজের প্রতিনিধি অনুপম পাত্র এবং সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের ফোটোজার্নালিস্ট খবর সংগ্রহ করতে গেলেই তাদেরকে চূড়ান্ত শারীরিক নিগ্রহ করা হয় যা ফুটে উঠেছে ভিডিওতে। গোটা ঘটনাটি অনুপম পাত্র নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেছেন। সেখানেই দেখা যাচ্ছে অনুপম বাবু এবং ফোটোজার্নালিস্টকে রীতিমতো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে শারীরিক নিগ্রহ করা হচ্ছে। সৌজন্যে অবশ্যই দিদির ভাইয়েরা!
তৃণমূলের লোকজন যেভাবে এই দুই সাংবাদিককে আজ প্রকাশ্যে শারীরিক নিগ্রহ করল তা দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে সাংবাদিক মহলে। এর আগেও তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র যেভাবে মিডিয়াকে দু’পয়সার প্রেস বলে অপমান করেছিলেন তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল বাংলার মিডিয়া মহল। যদিও সেই ঘটনাটির পরেও মুখ্যমন্ত্রী তার দলের সাংসদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। যদিও তৃণমূলের এই ট্র্যাডিশন নতুন কিছু নয়। এর আগেও তৃণমূল ও প্রশাসনের দুর্নীতি প্রকাশ্যে নিয়ে আসার জন্য আরামবাগ টিভির সম্পাদক সফিকুল ইসলামকে জেলে বন্দী করেছিল মমতা সরকার। এছাড়াও অনেক আগে মমতাকে নিয়ে কার্টুন বানানোর জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতার করেছিল মমতা সরকারের পুলিশ।
এই ভাবেই সংবাদমাধ্যমের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলা মিডিয়া জগত। তবে সকল মিডিয়া হাউজ নয়, যে সকল মিডিয়া হাউজ মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সত্যনিষ্ঠ তথ্য পরিবেশন করছে তাদের প্রতি রাজরোষ নেমে আসছে যা যথেষ্ট চিন্তার বিষয় বলে মনে করছে সকলে।