রাজ্য
TMC MLA misdeed: “আমার বিরুদ্ধে খবর করছ?” সাংবাদিকের উপর চড়থাপ্পড় লাগালেন এই তৃণমূল বিধায়ক!

বাংলায় বারবার আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম। কিছুদিন আগেই তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের দু’পয়সার সাংবাদিক মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলার সংবাদ জগৎ। আর এবার মহুয়াকেও ছাপিয়ে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে এই তৃণমূলের বিধায়কের কাছে প্রকাশ্যে সপাটে থাপ্পর খেলেন এক সাংবাদিক। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে। আর এই ঘটনায় ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন নিগৃহীত সাংবাদিক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি শহরের ফুটবল মাঠে একটি সরকারি জিমের উদ্বোধন ছিল। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী এবং পঞ্চায়েত স্তরের তৃণমূল নেতারা।
নিজের অভিযোগে নিগৃহীত সাংবাদিক সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, সোমবার ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দিরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। সেখানেই তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। অনন্তদেব বলেন, এলাকায় কোনও অনুষ্ঠানেই তাঁকে ডাকা হয় না।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যেই তৃণমূল বিধায়কের এহেন বেসুরো মন্তব্য খবর হিসেবে প্রকাশিত হয়ে যায়।
আর এরপরই বিধায়কের বিরুদ্ধে খবর করার জন্য সাংবাদিক সোমোনাথ চক্রবর্তীকে জিমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডেকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক পদমর্যাদাভুক্ত অনন্তদেব অধিকারী। এরপর সাংবাদিককে প্রকাশ্যে চড় মারারও অভিযোগ ওঠে বিধায়কের বিরুদ্ধে। তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন, তাঁর বিরুদ্ধে এইরকম কোনও খবর করা যাবে না।
বিধায়কের এহেন আচরণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য জুড়ে ওঠে নিন্দার ঝড়।
তবে যথারীতি নিজের ওপর ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। সাংবাদিকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে মিথ্যে খবর করেছে ওই সাংবাদিক। উনি যে ভাষায় খবর লিখেছেন, সেটা দেখে কারও মাথা ঠিক থাকবে না। তবে আমি ওঁকে চড় মারিনি।”