রাজ্য

‘মুখ্যমন্ত্রীকে ভারতরত্ন দেওয়া হোক’, দাবী তুললেন বাগদার তৃণমূল বিধায়ক, কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের

এর আগে এই বাগদার বিধায়ক তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) রানি রাসমনি ও ভগিনী নিবেদিতার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তা নিয়ে বেশ বিতর্কের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। এবার সেই বিধায়কই দাবী করলেন যে মুখ্যমন্ত্রীকে ভারতরত্ন (Bharat Ratna) দেওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্যের কটাক্ষ করল বিজেপি (BJP)।

এদিনের এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর ও আরও অনেকে। এই সভাতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের সুফল মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারও এই প্রকল্প গুলিকে অনুসরণ করছেন। সারা পৃথিবীতে এই প্রকল্পগুলি সমাদৃত হচ্ছে। তাই এই সভামঞ্চ থেকে আমি দাবি করছি, মুখ্যমন্ত্রীকে ভারতরত্ন দেওয়া হোক”।

অন্যদিকে, এদিন এই সভায় স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “সিএএ উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়নি৷ বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিএএ প্রয়োগ করতে পারবে না”। তিনি মুখ্যমন্ত্রী প্রশংসা করে তাঁর বক্তব্য, “জগন্নাথ দেব যেমন রথের দিন সাধারণ মানুষের মধ্যে নেমে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসন নিয়ে সরকারকে গ্রামেগঞ্জে পৌঁছে দিয়েছেন”।

অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী সিপিএমকে বাতিল আধুলির সঙ্গে তুলনা করেন এদিন। বলেন, “মানুষ সিপিএমের মতোই আধুলি প্রত্যাখ্যান করেছেন”। শান্তনু ঠাকুরকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “হয় নাগরিকত্ব শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করুন৷ নয়তো সংসদে গিয়ে পদত্যাগ করুন”।

মুখ্যমন্ত্রীকে ভারতরত্ন দেওয়ার মন্তব্যে পাল্টা দেয় গেরুয়া শিবির। এই বিষয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামপদ দাস বলেন, “পঞ্চায়েতে টিকিট নেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এসব কথা বলে, মেরে কেটে খাওয়াই লক্ষ্য”।

অন্যদিকে আবার সিএএ নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্য, “সিএএ নিয়ে তৃণমূলের লোকজন ভাওতা দিচ্ছে। এই আইনে যদি উদ্বাস্তদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে তৃণমূল সমর্থন করছে না কেন”।

Related Articles

Back to top button