‘ভুল তো হয়েছেই, ওদের যদি আটকাতে পারতাম, তাহলে এই দিন আসত না’, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আক্ষেপের সুর তৃণমূল বিধায়কের গলায়

নানান দুর্নীতির জেরে রাজ্য এখন বিধ্বস্ত। এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হলে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি (teachers recruitment scam)। এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শুরু করে শাসক দলের একাধিক নেতার। আর এর জেরে বিরোধীরাও (opposition) কটাক্ষ শানাতে কসুর করছে না। এমন আবহে এবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy) বলেন, “অন্য দলের বদমায়েশগুলো আমাদের দলে ঢুকে এসব করছে’। অর্থাৎ এই দুর্নীতির বলও একপ্রকার তিনি ঠেলে দিলেন বিরোধীদের কোর্টেই।
গতকাল, শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার খড়দহের রবীন্দ্র ভবনে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন তাপস রায়। সেখানেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। আসলে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এর আগে দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে দল। এদিন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে শোনা যায় তৃণমূল বিধায়ককে।
এদিন তাপস রায় বলেন, “নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার জন্য অন্য দলের বদমায়েশগুলো আমাদের দলে ঢুকে পড়েছে। তারা চায় সরকারি দলের সঙ্গে থাকতে। তারা খুঁজেও পেল আমাদের কাউকে কাউকে। আর তারা ঢুকে পড়ল আমাদের দলে। তারা আমাদের দলে ঢুকে নিজেদের কাজ করছে। এই জায়গাটা আমরা আটকাতে পারিনি। এই জায়গাটা যদি আমরা আটকাতে পারতাম তাহলে আজকে আমাদের এই পরিস্থিতি দেখতে হতো না”।
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নানান তাবড় তাবড় নেতাদের। নাম উঠেছে তৃণমূলের একাধিক যুব নেতাদেরও। কুন্তল ঘোষ বা শান্তনু চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাদের সম্পত্তির পরিমাণ দেখলে চোখ কপালে উঠতেই হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, দলের মধ্যে থেকেই কীভাবে এই যুব নেতারা এত সম্পত্তি করে ফেললেন, সেই বিষয়ে কী শীর্ষ নেতৃত্ব কোনওভাবেই আঁচ করতে পারে নি?
এমন আবহে এবার দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে কোমর বেঁধে লেগেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই নিয়ে দলীয় কর্মীদের পাঠ পড়িয়ে বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “ভুল ত্রুটি কি আমাদের নেই? আমাদেরও আছে ভুল ত্রুটি। সেগুলো সবাই শুধরে নেবেন। দম্ভ,অহংকার ছেড়ে আপনারা জনপ্রতিনিধিরা মানুষের কাছে যান। এই জন্যই আপনাদের দল ক্ষমতা দিয়েছে”। শীর্ষ নেতৃত্বের এমন সব বার্তা ভোটব্যাঙ্কে কতটা সুফল দেয়, এখন সেটাই দেখার।