‘কিছু বড় মন্ত্রীর অপকর্মের ফলে এটা হয়েছে’, সাগরদিঘিতে হার নিয়ে দলের লোকজনদেরই ‘মীরজাফর’ বলে দাগলেন তৃণমূল সাংসদ
গতকাল, ২রা মার্চ সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই উপনির্বাচনে জামানত জব্দ হয়েছে তৃণমূল। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের কাছে বড় অঙ্কের ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন যে সাগরদিঘিতে কংগ্রেস ও বিজেপির আঁতাতের জন্যই জয়ী হয়েছেন বাইরন। বিজেপির ভোট নাকি গিয়েছে কংগ্রেসে। এবার দলের হার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
ফেসবুকে একটি পোস্ট করে সাগরদিঘিতে এই হারের জন্য দলেরই একাংশকে দায়ী করেছেন অপরূপা। তাঁর কথায়, “আজ সারা ভারতে একজনই নেতা আমাদের। দিদি মমতা ব্যানার্জি রাজনীতি জানেন, তিনি একাই যথেষ্ট। আমরা সবাই তাঁর নামে নির্বাচন জিতেছি। সাগরদিঘিতে দলেরই মীরজাফর কাজ করেছে। দলের কিছু বড় মন্ত্রীর অপকর্মের কারণে আমাদের লাল কার্ড দেখতে হয়েছে এবং মাঠের বাইরে। কিছু বড় নেতা এখনও যে বক্তব্য রাখছেন, তাতে দলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করুন। তার পদ্ধতি অনুসরণ করুন। দল অনেক দূর এগিয়ে যাবে”।
অপরূপার বক্তব্য, “যারা খারাপ কাজ করেছে, যাদের জন্য দলের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে, যারা দলে থেকে দলের সঙ্গে বেইমানি করে দলকে ছুরি মেরেছে দল তাদের রেড কার্ড দেখিয়েছে। অধীর এবং শুভেন্দুর মধ্যে একটা ভাল আঁতাত রয়েছে। অধীর চৌধুরী নিজের অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য বিজেপির সদর দফতর পর্যন্ত গিয়েছিল। এটা সবাই জানে”।
তৃণমূল সাংসদের কথায়, এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে স্তব্ধ করার জন্যই বিরোধীরা জোট করছে। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রকে বলে বঙ্গ বিজেপি নেতারা ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।
এই নিয়ে যদিও কটাক্ষ করতেও ছাড়ে নি বিজেপি। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদক বলেন, “সাংসদ ফেসবুকে যা লিখেছেন সেটা তাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয়। তবে সাগরদিঘি দেখিয়ে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের দিদি যিনি টাকা দিয়ে মানুষের মন কিনতে চেয়েছিলেন তিনি পারেননি। মানুষ সঠিক সময় সঠিক কাজ করবেন এটা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। মীরজাফর বলতে তিনি কাকে বোঝাতে চেয়েছেন তা সবাই বুঝতে পেরেছে। নওশাদ সিদ্দিকিকে ৪০ দিন ধরে যে জেলে আটকে রাখা, এটা তারই ফল। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সঠিক জবাব দিতে শুরু করেছে”।