রাজ্য

মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হাত-পা বেঁধে ধ’র্ষ’ণ কিশোরীকে, নারকীয় এই ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

ঘটনাটি ঘটে সোমবার। মালদার ইংরেজবাজারের এক কিশোরী। এই বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে সে। জানা গিয়েছে, তার বাবা পেশায় দিনমজুর। খুব কষ্ট করেই মেয়েকে পড়াচ্ছেন তিনি। ঘটনার দিন বাবা ছিলেন কাজে, মাও বাড়িতে ছিলেন না। আর সেই সুযোগটাই নেয় শেখ রায়হান।

ফাঁকা ঘরে শুয়েছিল ওই কিশোরী। সেই সময় তার ঘরে ঢুকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হাত-পা বেঁধে লাগাতার ধ’র্ষ’ণ করে শেখ রায়হান। নারকীয় অত্যাচার চলতে থাকে কিশোরীর উপর। কিশোরীর চিৎকার শুনে লোকজন যখন ছুটে আসে, সেই মসয় বিছানায় কাতরাচ্ছে ওই কিশোরী। চাদর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। মা, বাবা বাড়িতে ফিরে মেয়ের এমন অবস্থা দেখে কেঁদে ফেলেন। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, শেখ রায়হান কিশোরীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে অত্যাচার চালায় তার উপর। শেখ রায়হান এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। জানা গিয়েছে, তার দুই দাদা সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, তারাই ভাইকে পালাতে সাহায্য করে এই ঘটনার পর। তবে অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত। অভিযুক্তের দুই দাদা আসরাফুল ও তাসরিফের বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেলা শাসককে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলে খবর।

তবে অভিযুক্তকে কেন এত দেরি করে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই প্রথমবার নয়, এর একাধিকবার গ্রামের মহিলা ও নাবালিকাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে এই শেখ রায়হান।

আজ, মঙ্গলবার, নির্যাতিতার বাড়ি যান মালদা জেলার প্রশাসনের আধিকারিকরা। গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার আধিকারিক মৌসুমি দত্তরায় রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি এবং এলাকার বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জানান যে তৃণমূল কর্মী হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, এই বিষয়ে জেলায় আইনশৃঙ্খলা তলানিতে নেমেছে বলে দাবী তুলে তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button