West Bengal

খড়দহের পর এবার দমদম, জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু দুই শিশুর, চরম গাফিলতির অভিযোগ এলাকার সাংসদ ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

বিজ্ঞাপন

দুটো তরতাজা প্রাণ। শুধুমাত্র এলাকার কাউন্সিলর, কো-অর্ডিনেটরের গাফিলতির জন্য খালি হল দুই মায়ের কোল। খেলতে খেলতে লাইট পোস্টে হাত দিয়ে ফেলে দুই বালিকা। এর জেরে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হল তাদের।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের বান্ধবনগরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত দুই বালিকার নাম অনুষ্কা নন্দী ও শ্রেয়া বনিক। দুজনকে পরে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গতকাল, মঙ্গলবারই জমা জলের বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে খড়দহে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে কলকাতার নানান জায়গা জলমগ্ন। দমদমের নানান এলাকা এখনও জলের তলায়। জানা গিয়েছে রাস্তার উপর শুকনো জায়গাতেই খেলছিল ওই দুই শিশু। লাইট পোস্টটি ছিল রাস্তার পাশে। জলের নিচে সেটি ডুবে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই লাইট পোস্টে হাত দিতেই বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

সেই এলাকার কো-অর্ডিনেটর হলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের পৌষ্য পুত্র সুরজিৎ রায় চৌধুরী। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার কাউন্সিলর শুধুমাত্র দমদমের প্রাইভেট রোডই দেখা শোনা করেন। অন্যান্য জায়গা যেমন মতিঝিল, আর এন গুহ রোড, বান্ধবনগরে তাঁকে কখনও দেখাই যায় না। এর ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সৌগত রায়  সুরজিৎ রায় চৌধুরীকে বাঁচানোর জন্য বলেছেন, “শহরজুড়ে জল তাই সচেতনতা ছাড়া কোনও উপায় নেই”। তিনি আরও বলেন, “জল জমেছিল যখন তাহলে ওদিকে যেতে দিয়েছিল কেন”।

মৃত শিশুর পরিবারের তরফে দাবী করা হয়েছে যে এলাকার কাউন্সিলর সে এলাকায় কোনও কাজ করেন না। গত দেড় বছর ধরে সেই এলাকায় নর্দমা পরিস্কার হয়নি। ফলে জমা জল নামতে অনেক সময় লাগে। পরিবারের অভিযোগ, এই বিষয়ে সুরজিৎ রায় চৌধুরীর কাছে অনেকবার অভিযোগ জানানো হলেও তিনি কর্ণপাত করেন নি। উল্টে তিনি বলেন, “মহিলাদের মতো ঝগড়া করতে চলে এসেছে”। এই ঘটনার জন্য সুরজিৎ রায় চৌধুরীকেই দোষী ঠাওরেছেন মৃত শিশুর পরিবার। তৃণমূল নেতার শাস্তির দাবীও তোলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading