রাজ্যে বসে দিল্লিতে অক্সিজেন নিয়ে প্রতারণা! বনগাঁয় গ্রেফতার ২
যখন একদল মানুষ প্রতিটা মুহূর্তে মানুষের সাহায্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সেখানেই একদল নিত্য প্রতারণা করে চলেছে । মহামারী পরিস্থিতির আড়ালে চলছে ব্যাপক কালোবাজারি।
মহারাষ্ট্র ও দিল্লির করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চলছে তীব্র প্রতারণা। আর এবার সেই অভিযোগেই বাংলা থেকে গ্রেফতার দুই।
ওয়েবসাইটের মধ্যেই নাকি পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে অক্সিজেন। দিল্লিতে করোনায় জর্জরিত রোগীদের আত্মীয়রা ছুটেছিলেন তা কিনতে। কিন্তু টাকা পাঠাতেই বেরিয়ে এল আসল রূপ। অক্সিজেন পাওয়া তো দূর অস্ত, টাকা নিয়েই বেপাত্তা ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ। আর এই রাজ্যে বসেই অক্সিজেন সরবরাহের নামে রাজধানীর বুকে ফাঁদ পেতেছিল দুই যুবক। অবশ্য শেষরক্ষা হল না। দিল্লিতে হওয়া অক্সিজেন সরবরাহের প্রতারণার ঘটনায় দুই মাথাকে বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার গোয়েন্দারা। অভিযুক্তদের কাছ থেকে নথিপত্র-সহ বেশ কয়েকটি বেনামি সিম কার্ড উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্সিজেন সরবরাহের ওয়েবসাইট খুলে জাঁকিয়ে বসেছিল বনগাঁর বাসিন্দা সৌরভ সাহা ও গোপালনগর থানা এলাকার বাসিন্দা পিন্টু পাল নামে দুই যুবক। পিন্টুর আবার মোবাইলের দোকানের ব্যবসাও রয়েছে ওই এলাকায়।
এই প্রতারণা চক্রের পিছনে কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানতে চেয়ে ধৃতদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেই জন্য ইতিমধ্যেই ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
এই প্রতারণা চক্রের খোঁজ মেলে দক্ষিণ দিল্লির আনন্দ বিহার এলাকার বাসিন্দা অলক নামের এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে। তারপরই ঘটনার তদন্তে নামে দিল্লির সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা। তদন্তে নেমে তাঁরা জানতে পারেন, এই প্রতারণার কারবার পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে চালানো হচ্ছে। ওয়েবসাইট ও সিম কার্ডের তথ্যের সূত্র ধরেই ওই দুই যুবকের নাম উঠে আসে। এরপর বনগাঁয় হানা দিয়ে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দিল্লির সাইবার ক্রাইমের অফিসাররা। ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁরা আরও জানতে পারেন, এই চক্র শুধুমাত্র এই রাজ্যেই সীমিত নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।