WB Election: হাওয়া লেগেছে পরিবর্তনের! মমতার চিন্তা বাড়াচ্ছেন ৫ সাংসদ, বিধায়ক
সাংসদ-বিধায়ক নেতা-মন্ত্রীদের দলবদলে এখন জেরবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সমস্ত ফাঁকফোকর দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে বিজেপি। চলছে জোরদার প্রচার। বাংলা দখলে তৎপর বিজেপি অন্যদিকে গদি রক্ষায় টালমাটাল মমতা। যখন দলবদল রংবদল নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের শাসক দল তখনই চিন্তা আরও বাড়িয়ে, দলের সুপ্রিমোর কর্মীসভায় খোঁজ মিলল না তৃণমূলের দুই সাংসদ আর তিন বিধায়কের।
Amit Shah In Bengal: অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল নেতাজির অবদানকে ভুলিয়ে দেওয়ার, জাতীয় গ্রন্থাগারে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অমিত শাহ্’র
প্রসঙ্গত, গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মীসভায় অনুপস্থিত ছিলে দলের পাঁচ হেভিওয়েট বিধায়ক, সাংসদ। এবার এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। যদিও, বিজেপি আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে, বঙ্গ বিজেপির শুদ্ধিকরণের জুতা তাঁরা এখন তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদদের আর দলে নেবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী আর প্রতিমা মণ্ডল সমেত বিধায়ক জীবন মুখার্জি, দেবশ্রী রায় আর মন্টুরাম পাখিরা বৃহস্পতিবার তৃণমূল সুপ্রিমোর কর্মীসভায় অনুপস্থিত ছিলেন।
যদিও অভিনেত্রী সাংসদ মিমি এখন গোয়ায় আছেন, তাই ওঁর এই কর্মীসভায় উপস্থিত থাকা সম্ভব ছিল না। কিন্তু চারজন রাজ্যে থেকেই অনুপস্থিত। জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে যে, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের কোনও আত্মীয় প্রয়াত হয়েছে তাই তিনি আসতে পারেন নি। আর বিধায়ক জীবন মুখার্জি অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি।
কিন্তু সবার মধ্যে জল্পনা বাড়িয়েছেন অভিনেত্রী তথা সমাজকর্মী দেবশ্রী রায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই দলের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। একদিকে তৃণমূল নেত্রী রাজ্যের ভোটারদের মন পাওয়ার জন্য যখন বাড়িতে তারকা অথবা তারকাদের দিয়ে প্রচার করাতে চাইছেন, তখন আরেকদিকে দেবশ্রী রায়ের মতো তারকা বিধায়কদের অনুপস্থিতি দলের চিন্তা বাড়াচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব দেবশ্রী রায়কে গতকাল অনুপস্থিত থাকার কারণ জানাতে বলেছে।
তবে এখন তৃণমূলকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া রদ করার কথা কিছুদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে, আমরা চাইনা কেউ আমাদের তৃণমূলের বি-টিম বলে ডাকুক। আমরা এখন আর তৃণমূলের নেতাদের বিজেপিতে নেব না। বিশেষ করে যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁকে তো একদমই না। আর এই কারণে আমরা এখন বড় নেতাদের দলের সদস্যতা দিচ্ছি না।