West Bengal
মাছ না ডিম, জিতবে কে? বাঙালির প্রিয় মাছ-ভাত’কে সঙ্গী করে তৃণমূলের ডিম-ভাতের মোকাবিলায় বিজেপি!
বিজ্ঞাপন
ভোটের মুখে বাংলার গদি জিততে গরিব কল্যানে ‘মা’ প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র ৫ টাকায় মিলছে দুপুরের আসার। ডিম-ভাতের থালি। সেই সঙ্গে থাকছে ২০০ গ্রাম চালের ভাত, ডাল, সব্জিও।
বিজ্ঞাপন
এই মুহূর্তে কলকাতার ১৬ টি বরোতে দেওয়া হচ্ছে ৫ টাকায় ডিম-ভাতের থালি। ধাপে ধাপে এই ‘মায়ের রান্নাঘর’ চালু হবে শহরের ১৪৪ টি ওয়ার্ডে। এই প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন স্বাধীনতার পর কলকাতায় গরিবদের জন্য পাঁচ টাকায় পেটপুরে আমিষ খাবারের জোগান এই প্রথম সরকারি পর্যায়ে চালু হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এই পরিষেবা চালু করার পর মঙ্গলবার থেকেই প্রতিদিন দুপুর ১ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত ‘মায়ের রান্নাঘর’ থেকে খাবার মিলবে।বিজ্ঞাপন
প্রথমে রাজ্যের শাসকদলের এই প্রকল্পের সমালোচনা করলেও, ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী, পণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টার স্ট্রোকের পাল্টা জবাব দিতে এবার ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ কর্মসূচি নিয়ে এল পদ্ম শিবির।
বিজ্ঞাপন
তবে তৃণমূলকে মাত দিতে বিজেপি তাঁদের এই কর্মসূচিকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ঘোষণা করেছে।
লাগছেনা ৫ টাকাও। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে মাটিতে বসে মধ্যাহ্নভোজ সারেন বিজেপির নেতারা। ভাত, ডাল, আলু ভাজা, মাছের ঝোল চাটনি দিয়ে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। লাগেনি পাঁচ টাকাও, বিনামূল্যেই এই খাবার পেল সাধারণ মানুষ। বলা বাহুল্য, বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষের মন জয় করতে বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি। বাঙালির প্রিয় যে মাছ ভাত তা সকলের অজানা নয়। সেই কারণেই ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ কর্মসূচি গ্রহণ করল বিজেপি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন