উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রেই জিতে পুরভোট করতে উদ্যত রাজ্য, পুর ও নগরোন্নয়নের তরফে চিঠি দেওয়া হচ্ছে কমিশনে

রাজ্যের চার কেন্দ্র অর্থাৎ দিনহাটা, গোসাবা, শান্তিপুর ও খড়দহতে উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন ছিল আজ, মঙ্গলবার। এই চার কেন্দ্রেই বিজেপিকে ধরাশায়ী করে জিত হাসিল করেছে তৃণমূল। আর এরপরই পুরভোট নিয়ে সক্রিয় হল রাজ্য সরকার।
ভোটের এই জয়ের ছাপ যাতে পুরভোটেও পড়ে, সেই কারণেই পুরভোট নিয়ে এত তাড়াহুড়ো করছে রাজ্য, এমনই কথা উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। এই পুরভোট করানোর জন্য পুর ও নগরোন্নয়নের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হল বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যৌথ উদ্যোগেই পুরভোট হয়।
এতদিন পর্যন্ত বিরোধীরা পুরভোটের দাবী জানিয়ে আসছিল। আর এখন শাসক দলও পুরভোট নিয়ে বেশ তোড়জোড় শুরু করল। উপনির্বাচনে জয়ের পরই চিঠি পাঠানো হচ্ছে কমিশনে। জানা গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোনও দ্বিমত না থাকলে, আগামী ১৯শে ডিসেম্বরই কলকাতা ও হাওড়ায় হবে পুরভোট।
বলে রাখি, ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ের দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন মিটে গেলেই পুরভোট করানো হবে। কিছুদিন আগেও ফিরহাদ হাকিমও তেমনই ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যে যদি করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে শীঘ্রই পুরভোট সেরে ফেলতে চায় রাজ্য। তিনি এও জানিয়েছিলেন যে সমস্ত প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও করোনার কারণে পুরভোট করানো যায় নি গত বছর। তবে সকলে যদি করোনা বিধি ভালোভাবে মেনে চলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে শিগিগিরিই হবে পুরভোট।
তবে কলকাতায় পুরভোট নিয়ে কোনও সময়ের কথা উল্লেখ করেননি তিনি। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণ যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর, রবিবার কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। নভেম্বর মাসে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হচ্ছে।
প্রশাসনও চাইছে যাতে জানুয়ারির মাঝামাঝি কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট হয়। এবার কার্যত তারিখ উল্লেখ করে কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট চাইল রাজ্য। এদিকে উপনির্বাচনে হারের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েই দিয়েছেন যে এবার তাঁদের পাখির চোখ হবে পুরভোট।