ইহলোক ত্যাগ করেছেন সোমেন মিত্র! উত্তরসূরী কে হবেন? উত্তর খুঁজতে ল্যাজেগোবরে অবস্থা কংগ্রেসের!
ছোড়দা আর নেই। আর তাঁর এই হঠাৎ চলে যাওয়ায় দিশাহীন হাইকমান্ড। সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর এখন গভীর চিন্তায় প্রদেশ কংগ্রেস। দীর্ঘসূত্রিতার ফর্মুলা দূর থাক, আপাতত সাময়িক সিদ্ধান্ত নিতেও করুন অবস্থা প্রদেশ কংগ্রেসের। সোমেন মিত্রের যোগ্য উত্তরসূরী কে হবেন তাই ভাবাচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব কে।
ছোড়দার চলে যাওয়ার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি চলে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ। একে তো নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জেরবার কংগ্রেস। অন্যদিকে বামেদের সঙ্গে সম্বন্বয়। এই দুইয়ের ভারসাম্য রাখার মত যোগ্য নেতা কে হবেন? উত্তর খুঁজছেন গৌরব। অধীর চৌধুরীর পরবর্তীকালে সোমেন মিত্র প্রদেশের সভাপতি হওয়ার পর অনেক পুরনো নেতাদেরকেই দেখা যায়, আবারও বিধানভবনে আসা যাওয়া করতে।
অন্যদিকে, অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠরা বিধানভবন চত্বরেই ঢুকতে পারছেন না। এমনকি হাতাহাতির খবরও সামনে আসে। আর এবার সোমেন মিত্রের প্রয়াণের পর এখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদের দাবিদার হিসেবে প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবদুল মান্নান, অমিতাভ চক্রবর্তী, সবার নাম নিয়েই আলোচনা চলছে। কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান জানিয়েছেন “গৌরব ফোন করেছিল। কিন্তু আমি গতকালের ঘটনায় মর্মাহত। সোমেনদার সঙ্গে বেশকিছু প্রশ্নে মতপার্থক্য থাকলেও কখনওই সোমেন দার অভাব কেউ পূরণ করতে পারবে না।” উত্তরবঙ্গের নেতা শঙ্কর মালাকারের বক্তব্য, “সোমেনদার বিকল্প কাউকে ভাবতেই পারছি না। দল প্রয়োজন বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে।”
রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের অভিজ্ঞতাকে আবার আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছে হাইকমান্ড। অন্যদিকে, অধীর চৌধুরী যেহেতু সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা সামলান, খুব স্বাভাবিকভাবেই সেদিকটাও অক্ষুণ্ণ রাখতে চায় শীর্ষ নেতৃত্ব।এক্ষেত্রে নতুন করে রাজ্যের দায়িত্ব আরোপ কতটা প্রাসঙ্গিক হবে তাও ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে অমিতাভ চক্রবর্তী কংগ্রেসের মিডিয়া সেল সামলানোর পাশাপাশি, একজন বর্ষীয়ান নেতাও। বামেদের সঙ্গেও সখ্যও আছে। সবমিলিয়ে কে হবেন পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপিত? উত্তর ঘুরপাক খাচ্ছে গোলকধাঁধায়।