West Bengal

বদলার রাজনীতি মমতার! অমিত শাহ্’র সভায় কালো পতাকা, নেপথ্যে কী মুখ্যমন্ত্রী?

বিজ্ঞাপন

গত বুধবার রাতে কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণায়  একঝাঁক কর্মসূচীতে যোগ দেন তিনি। এদিন প্রথমেই গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে নামখানায় সভা করেন শাহ। এরপর সেখান থেকে বিজেপির পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা করেন তিনি। কিন্তু নামখানার সভাতেই ঘটে এক নিন্দনীয় ঘটনা যা রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিনের সভাতে অমিত শাহ মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠলেই দেখা যায় এক মহিলা ঘেরা রেলিং-এর উপর উঠে অমিত শাহ্‌’র উদ্দেশ্যে কালো পতাকা দেখাতে থাকেন। তৎক্ষণাৎ আশেপাশে থাকা দর্শক ও বিজেপি কর্মীরা ওই মহিলার থেকে পতাকাটি নিয়ে নিলে তিনি ফের অন্য একটি পতাকা বের করে তা দেখাতে থাকেন। এরপর দর্শকেরা মহিলাকে রেলিং-এর উপর থেকে একপ্রকার টেনে হিঁচড়েই নামিয়ে দেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- তৃণমূলের শেখানো বুলি না বললে মন্ত্রিত্ব যাবে, ব্রাত্য বসু শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ, তীব্র কটাক্ষ অনুপমের

বিজ্ঞাপন

এই ধরণের ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা একাধিকবার দেখা গিয়েছে। তবে এমন ঘটনা অমিত শাহ্‌’র সভায় প্রথম। কিছুদিন আগে পুরুলিয়ায় মমতার সভার সময় একদল মানুষ চাকরির দাবীতে প্ল্যাকার্ড দেখান। সেই সময় তাদের রীতিমতো ধমকিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে এরকম করলে তিনি তাদের কথা শুনবেন না। বলেন, “প্রত্যেক সভাতে গিয়ে এরকম করবে খালি। বিজেপি লোক ঢুকিয়েছে। এবার আমি অ্যাকশন নেব। আমিও বিজেপির সভায় লোক ঢুকিয়ে দেব”।

বিজ্ঞাপন

তাঁর এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে যে তাহলে কী সেদিন অমিত শাহ্‌’র সভায় তৃণমূল সুপ্রিমোর নেতৃত্বেই ওই মহিলা কালো পতাকা দেখিয়েছিলেন? মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছিলেন যে তিনি অ্যাকশন নেবেন। তাহলে কী এটাই তাঁর সেই অ্যাকশনের প্রদর্শন? রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। তবে অনেকেই মনে করছেন যে তৃণমূলের মদতেই শাহ্‌’র সভায় এমন কাণ্ড ঘটেছে।

আরও পড়ুন- কোনও কাজ দিল না স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, মমতার রাজ্যে মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে ৩ হাসপাতাল ঘুরল পরিবার

বিজ্ঞাপন

তবে এই পরিস্থিতিতে পড়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিন্তু একটুও বিচলিত হননি। বরং মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, “ওই মহিলাকে সম্মানের সঙ্গে বাইরে যেতে দিন। পুলিশ একটু দেখবেন। বাকী সব মা-বোনেরা নিজেদের আসনে বসুন”। এই ঘটনা থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা প্রকাশ পায়। আর অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় এরূপ ঘটনা ঘটলে, তিনি যেমন খুশি কথা শুনিয়ে দিয়ে বলেন যে তাঁর মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। এমনকি, সভায় তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলা লোকজনদের আটকও করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading