প্রথমদিনেই হিট অভিষেকের ‘বাংলার যুবশক্তি’, নাম নথিভুক্ত করালেন প্রায় ১২ হাজার মানুষ
বাংলার যুব শক্তিকে একত্রিত করে করোনা ও আমফানের মত বিপর্যয়ের মুখোমুখি লড়াই করার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে নিজেদের নাম রেজিস্টার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। প্রথম দিনেই এই আহ্বানে সাড়া দিলেন ১২ হাজার মানুষ। প্রথম দিনেই বাংলার যুবশক্তি ছুঁল ৪২ লক্ষ মানুষকে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এক মাসে এক লক্ষ যুবক যুবতীকে সেই কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়া হবে। তার রেজিস্ট্রেশন পর্ব চালু হয়েছে। প্রথম দিনেই ভিডিও দেখেছেন ১১ লক্ষ মানুষ। তাঁদের মধ্যে সদস্য হিসাবে নামের রেজিস্ট্রেশন করেছেন প্রায় ১২ হাজার।
এছাড়াও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। শেয়ার হয়েছে ৭ হাজারেরও বেশি পেজে। বাংলার যুবশক্তি হ্যাশট্যাগ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট করেছেন ৪৫ হাজার মানুষ। প্রথম চার ঘণ্টায় প্রচুর টুইটও হয়েছে বাংলার যুবশক্তি নিয়ে। অভিষেক টুইট করে বলেছেন, “৩৩১টি ব্লক, ২৩০টি শহরজুড়ে মানুষ রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। বাংলার যুবশক্তি প্রথম ২৪ ঘণ্টায় এত মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরে আপ্লুত। বাংলার যুবশক্তি যেভাবে সাড়া দিয়েছেন তার জন্য তাঁদের অনেক ধন্যবাদ।”
ঠিক একবছর পরে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে করোনা ও আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি এখন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে এই জোড়া বিপর্যয়ের ফলা থেকে রাজ্য কে রক্ষা করেন তার ওপরেই ক্রমাগত নজর রেখে যাচ্ছে বিরোধী শিবির। কোথাও সামান্য কোন ত্রুটি বিচ্যুতি দেখলেই কোমর বেঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণে নেমে পড়ছে বিজেপি। মমতা সরকারকে একুশে উচ্ছেদ করার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করে যাচ্ছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষদের আস্ফালন, একুশে বিজেপি আসছেই। শুরু থেকেই তারা ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। কিছুটা দেরি হলেও এই আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূলও। বৃহস্পতিবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”এই কঠিন সময়ে রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়াবে এই যুব বাহিনী। নিজের পাড়ায়, অঞ্চলে, শহরে মানুষের প্রয়োজনে হাত বাড়িয়ে দেবেন তাঁরা।” এই বাহিনীতে যুক্ত হতে পারবেন ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা।