“লম্বা লম্বা পা ফেলে…” বাংলা গল্প উপন্যাসে এই উপমাটা খুবই পরিচিত। সাধারণত খুব তাড়াতাড়ি যাওয়া অর্থে এই উপমাটা ব্যবহার হয়। কিন্তু বাস্তবেই যদি কারও পা খুবই লম্বা হয়, তখন কী অবস্থার সৃষ্টি হয়?
আমেরিকার টেক্সাসের এক কিশোরী ম্যাসি কিউরিন এই লম্বা পায়েরই মালকিন। এতটাই লম্বা যে, গিনিজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের দীর্ঘতম পা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন তিনি। কিউরিনের বাঁ পায়ের দৈর্ঘ্য ১৩৫.২৬৭ সেন্টিমিটার (৫৩.২৫৫ ইঞ্চি) আর তার ডান পায়ের দৈর্ঘ্য ১৩৪.৩ সেন্টিমিটার (৫২.৮৭৪ ইঞ্চি)। যেখানে বিশ্বজুড়ে মেয়েদের পায়ের গড় দৈর্ঘ্য ৮১ থেকে ৮৬ সেন্টিমিটার, সেখানে তার দেড়গুণেরও বেশি দৈর্ঘ্যের পা নিয়ে কিউরিন এখন বিশ্বে একনম্বরে।
এর আগে এই খেতাব রাশিয়ার একাতেরিনা লিসিনা নামে এক তরুণীর দখলে ছিল। তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মডেল (৬ফুট ৮.৭৭ ইঞ্চি) ছিলেন। তাঁর দুই পায়ের দৈর্ঘ্য ছিল বাঁ ও ডান পা যথাক্রমে ১৩২.৮ সেন্টিমিটার, ও ১৩২.২ সেন্টিমিটার। কিন্তু এখন ম্যাসি কিউরিন সেই খেতাব দখল করে নিয়েছেন।
Related Posts
কিউরিন পরিবারের সকলেরই উচ্চতা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। তবে ম্যাসি তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উচ্চতা সম্পন্ন। ম্যাসির উচ্চতা ৬ফুট ১০ইঞ্চি। আর তার শরীরের পুরো দৈর্ঘ্যের প্রায় ৬০শতাংশ হুড়েই রয়েছে তার পা জোড়া।
টিকটকের কিছু ভিডিওর মাধ্যমে ম্যাসির ছবি প্রকাশ্যে আসে। তখনই ম্যাসি উপলব্ধি করে যে তার পায়ের দৈর্ঘ্য স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। এমনকি সে তার নিজের মাপের লেগিনসও পায়নি কোথাও। তারপরেই ম্যাসি গিনিজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কমিটিকে জানায়। আর তারপর এই “অদ্ভুত শরীর” হিসেবে স্বীকৃতি পায় ম্যাসি।
এই খেতাব জয়ের পর ম্যাসি জানিয়েছে বিশ্বে অনেক লম্বা মানুষ আছেন, যাঁরা অতিরিক্ত উচ্চতার জন্য হীনমন্যতায় ভোগেন। তাঁদের এই হীনমন্যতা দূর করা উচিৎ।
ম্যাসির আপাতত পরিকল্পনা মডেলিং স্কুল জয়েন করে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা লম্বা মডেল হওয়ার খেতাবও নিজের নামে নিতে।