অফবিট
৮৪ বছর আগে এক বাঙালির স্বপ্নের দোকান আজকের সেনকো জুয়েলার্স! জানুন এক বাঙালি ব্যবসায়ীর দুর্দান্ত উত্থানের কাহিনী

আমরা বাঙালিরা গয়না পরতে খুব ভালোবাসি। মানতাসা,সীতাহার, সাতনরি হার,চূড়, বাজুবন্ধ,কানপাশা ইত্যাদি কত সাবেকি গয়না যে বাঙালি পরেছে এবং আজও পরে যাচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। এই সোনার গয়নার সঙ্গে বাঙালির একটা আত্মিক যোগ আছে। আমাদের বাংলায় প্রচুর স্বর্ণ প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো সেনকো জুয়েলার্স। আজকে আপনাদের সেনকো জুয়েলার্স অ্যান্ড ডায়মন্ডসের উঠে আসার গল্পটা শোনানো যাক।
বাঙালি নাকি ব্যবসা করতে জানেনা। এই প্রবাদকে মিথ্যা প্রমাণ করতে আজ থেকে 84 বছর আগে 1938 সালে কলকাতা তখন স্বদেশী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট। সেই সময় চিৎপুরের বুকে জন্ম নিল একটি দোকান। সেটাই যে একসময় বাঙালির সোনা কেনার পীঠস্থান হয়ে দাঁড়াবে সেটা তখন কে বুঝেছিল?
সেই সময় সেনকো একটা সাধারণ দোকান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল এবং পরবর্তীকালে সেই দোকানে হয়ে উঠলো আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের সেনকো জুয়েলার্স।পরিবারের বিভেদ অনেক হয়েছে কিন্তু সেনকো জুয়েলার্সের জনপ্রিয়তায় আজ পর্যন্ত ভাঁটা পড়েনি। দুই হাজার কুড়ি সালে সংস্থার তৎকালীন কর্ণধার শংকর সেন মারা যাওয়াতে একটু বিপদের মুখে পড়েছিল এই সংস্থা কিন্তু তারপরে দক্ষ হাতে সেন পরিবার সামলে নেয় সেনকো জুয়েলার্সকে। বহু বিবাদের মধ্যেও টিকে আছে সেনকো জুয়েলার্স, সারাদেশে মোট 123 টি ষ্টোর রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান এর। তবে শুধু গহনা বিক্রি নয় সেই সঙ্গে সামাজিক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে সেনকো জুয়েলার্স।
সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস-এর বর্তমান সিইও শুভঙ্কর সেনের তত্ত্বাবধানে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস সবসময় সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবে। আর তাই সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস মহিলা ও কম বয়েসীদের জন্য শঙ্কর সেন ইনস্টিটিউট অফ ভোকেশনাল স্টাডিজ গঠন করেছে। মধ্যমগ্রামের পি সি সেন চ্যারিটেবল ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এই ইনস্টিটিউট। মহিলা ও কম বয়েসীদের স্বনির্ভর করে তোলাই এই ইনস্টিটিউটের লক্ষ্য। গয়না ডিজাইন, রিটেল সেলস, হোম কেয়ার, বিউটি কেয়ার, হেলথ কেয়ারের মতো কম সময়ের কোর্স করিয়ে তাঁদের স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করে এই ইনস্টিটিউট।