অফবিট

তিন লক্ষ দেশলাইকাঠি দিয়ে তাজমহল বানালেন সহেলী, বাঙালি ছাত্রীর কীর্তিতে গর্বিত নেটিজেনরা

বিজ্ঞাপন

সৃষ্টিশীলতা বাঙালীদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে। আর এই শিল্পসৃষ্টির জন্য নদীয়া জেলা, বিশেষ করে কৃষ্ণনগরের নাম তো বিশ্বখ্যাত। নদীয়া জেলার হাওয়া মাটির মধ্যেই রয়েছে শিল্প সৃষ্টির ইন্ধন। কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুলের প্রশংসা তো কয়েক হাজার বছর ধরেই সবার মুখে মুখে ঘোরে।

বিজ্ঞাপন

আর এই কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি এলাকার বছর বাইশের এক ছাত্রী সহেলী পাল। শিল্প যার চেতনায় মিশে রয়েছে। প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন শিল্প সৃষ্টি করার চিন্তায় আর অন্য পাঁচজনের থেকে একটু আলাদা কিছু করার চিন্তায় মগ্ন সহেলী জন্ম দিতে থাকে একের পর এক শিল্পকলার। আর সেই কাজ করেই এবার বিশ্বজয়ীর খ্যাতি পেতে চলেছেন এই তরুণী। তিন লক্ষ দেশলাই কাঠি দিয়ে তিনি বানিয়ে ফেলেছেন সপ্তমাশ্চর্যের এক আশ্চর্য তাজমহলের একটি সুবিশাল ছবি। আর সেই সৃষ্টির জন্যই গিনিজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিতে পারেন তিনি, এমনই আশা করছেন সহেলী।

বিজ্ঞাপন

মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাজমহল বানিয়েছিলেন তাঁর অন্যতমা স্ত্রী মমতাজের স্মৃতিতে, তাঁকে ভালবেসে। যা বিশ্বের অন্যতম সুন্দর সৌধর খ্যাতি লাভ করেছে। আর তার ৪০০ বছর পরে কৃষ্ণনগরের এক তরুণী সেই তাজমহলের ছবি বানিয়েও বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছেন। ৬ফুট বাই ৪ফুটের এই তাজমহলের ছবিতে রঙের ব্যবহারও করেছেন সহেলী। সহেলী বলেছেন রাতের তাজমহলকে ফুটিয়ে তোলার জন্য রঙের ব্যবহার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ২০১৩ সালে ইরানের এক শিল্পী ম্যায়সাম রেহমানি ১লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৫১টি দেশলাই কাঠি দিয়ে UNESCO-র লোগোর প্রতিকৃতি বানিয়ে গিনিজ বুকে নাম তুলেছিলেন। এখনও পর্যন্ত ওটিই বিশ্বরেকর্ডের খেতাব বহন করে চলেছে। সহেলীর আশা এবার ওই শিরোপা তাঁর মাথায় উঠবে। গিনিজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সমস্ত গাইডলাইন মেনে গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় করে এই কাজ শুরু করেন সহেলী। কাজ শেষ হয় সেপ্টেম্বরের ৩০তারিখে। আর তারপর সেই কাজের সমস্ত প্রোগ্রেসের ভিডিও পাঠানো হয় গিনিজ কর্তৃপক্ষকে। এখন শুধু উত্তর আসার অপেক্ষা। সুখবরের আশায় প্রহর গুনছেন সহেলী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী সহেলী তাঁর এই শিল্পের প্রতি অদম্য প্রেম বহন করেছেন পরিবার সূত্রেই। সহেলীর বাবা, দাদু, দুজনেই রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত মৃৎশিল্পী। তার অন্য ধরনের শিল্প সৃষ্টির খিদে তাঁর বরাবরই। এর আগেও ২০১৮ সালে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দুর্গা বানানোর জন্য বিশ্বসেরার খেতাব পেয়েছিলেন তিনি ২.৫৪ বাই ১.৯৩ বাই ০.৭৬ সেন্টিমিটার আয়তন ও ২.৩ গ্রাম ওজনের সেই দুর্গামূর্তিটিই বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দুর্গামূর্তির তালিকায় সবার উপরে স্থান পেয়ে রয়েছে। এখন নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ার অপেক্ষায় সহেলী। সহেলীর বক্তব্য পরিবারের ধারা বজায় রেখে, সর্বোপরি মন থেকে ভালবেসেই তিনি এই শিল্পকর্ম করে থাকেন। এখন গোটা এলাকার মুখ আবারও উজ্জ্বল করবেন তিনি এই আশায় দিন গুনছেন কৃষ্ণনগরবাসীরা।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading