জমা জল থেকে উদ্ধার ছয়টি মৃতদেহ! চাঞ্চল্য বেহালায়!
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আমফানের গতিবেগ যে সবকিছুকে ছাপিয়ে যাবে তার সতর্কবার্তা আগেই দিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদেরা। কিন্তু মুখে বলা আর সেটাকে প্রত্যক্ষ করার মধ্যে অনেকটা পার্থক্য রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের এমন বীভৎস রূপ এর আগে বাংলায় কেউ দেখেননি বলেই জানিয়েছেন নাগরিকরা। এর আগে ফণী, আয়লা, বুলবুল, হুদহুদের মতো ঝড় এলেও সামলে নিতে পেরেছিল বাংলা, কিন্তু এবার শুধু উপকূল অঞ্চলেই নয়, বিপর্যস্ত কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা। জমা জলে ভেসে থাকা লাশ, কুমোরটুলিতে জলের তোড়ে ভাঙা মায়ের মূর্তি, কলেজপাড়ায় তছনছ হয়ে যাওয়া বইয়ের দোকানের ছবি মানুষকে আরো বিপর্যস্ত করে তুলছে।
কলকাতা এর আগে কোনওদিন এত ভয়াল ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি। উত্তর থেকে দক্ষিণ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শুধুমাত্র বেহালার পর্ণশ্রীতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ৬ জন। সকালে সূর্যের আলোয় জমা জলে মৃতদেহগুলি ভাসতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের লোক এসে দেহগুলি নিয়ে যায়।
এছাড়া টিকিয়াপাড়ায়, বেলুড়ে একজন ও হাওড়ার ব্যাটড়ায় দু’জন মারা গিয়েছেন। কলকাতার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, অভাবনীয় বিপর্যয় হয়েছে। পুরসভার কর্মীরা প্রাণপাত চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার। হাতিবাগান, বেলগাছিয়া, যাদবপুর, বেহালা, গলফগ্রিন, চেতলা সবখানে একই চিহ্ন, ধ্বংসের একই প্রলয় রূপ। হাওড়াতেও দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিসেবা অনেক অংশেই বন্ধ। হুগলির চিত্রও কিছু আলাদা নয়। উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, ভদ্রেশ্বর, চুঁচুড়া, চন্দননগর সহ সমস্ত এলাকাগুলোয় সব ব্যবস্থা ঝড়ের তাণ্ডবে একেবারে ভেঙে পড়েছে। এখনও নেই পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবা।