‘কেন দিনে ৮ ঘণ্টা কারেন্ট থাকে না, কেন এত বিদ্যুতের সংকট’, রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ধোনি পত্নী সাক্ষী

উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে গরম। একাধিক রাজ্যে চলছে তাপপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে আবার যোগ হয়েছে লোডশেডিং। সব রাজ্যেই কমবেশি এমন অবস্থা। একে তো গরম, আবার এর উপর বিদ্যুৎ না থাকায় তারকা থেকে সাধারণ মানুষ সকলের নাজেহাল অবস্থা। এই নিয়ে এবার সরব হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ধোনি।
ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে পরিবার নিয়ে থাকেন ধোনি। বর্তমানে যদিও তিনি আইপিএলের জন্য মুম্বইতে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত যদিও তাঁকে আইপিএলে দেখা যায়নি। রাঁচিতে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে রয়েছেন সাক্ষী। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে প্রভাবিত হচ্ছেন তিনি।
এই নিয়ে ঝাড়খণ্ড সরকারকে তোপ দেগে সাক্ষী টুইটে লেখেন, “ঝাড়খণ্ডের করদাতা হিসেবে শুধু জানতে চাই দীর্ঘ বছর ধরে ঝাড়খণ্ডে কেন বিদ্যুতের সংকট চলছে? বিদ্যুৎ বাঁচানোর জন্য আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করছি ধারাবাহিকভাবে”।
জানা গিয়েছে, দিনে পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না ঝাড়খন্ডে। গ্রামের দিকে সেই সময়টা আরও বেশি, প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা। এমন পরিস্থিতিতে সাক্ষীর ক্ষোভ জন্মানো স্বাভাবিক যেখানে ধোনি ঝাড়খণ্ডের অন্যতম বড় করদাতা। যদিও সাক্ষীর টুইটের কোনও উত্তর দেয়নি সরকার।
গত মঙ্গলবার ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সাংবাদিকদের বলেন, “বিদ্যুতের চাহিদা হঠাৎ করে অনেক বেড়ে গেছে। আমরা আরও বিদ্যুতের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছি। বিদ্যুৎ কম উৎপাদনের কারণে অনেক রাজ্য এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টা দেখছি”।
এমন আবহে সে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা। এদিকে, ঝাড়খণ্ড বিজলি বিতরণ লিমিটেডের তরফে জানানো হয়েছে যে রাজ্যে মোট বিদ্যুৎ লাগে ২২০০ মেগা ওয়াট। কিন্তু বিগত কয়েকদিনে সেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬০০ মেগা ওয়াটে। রাজ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৪২০০ মেগা ওয়াট। এর অর্ধেক বিদ্যুৎ অন্য রাজ্যকেও বিক্রি করতে হয়।
অন্যদিকে, রাঁচির আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে আরও ৪-৫ দিন এমনই গরম চলবে। তাপপ্রবাহের সমস্যা বাড়বে রাজ্যের পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম অংশে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাঁচি, গিরিডিও, কোডার্মা, পূর্ব সিংভূম এবং পশ্চিম সিংভূম গত ২৪ ঘণ্টায় ঝাড়খন্ডের একাধিক জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।