কল্যাণীর আবাসিক শিবিরে মহামেডান স্পোর্টিং দলের সঙ্গে থাকছেন চিকিৎসক
করোনার আবহ কাটিয়ে অনুশীলনের জন্য মাঠে নামল মহামেডান স্পোর্টিং। আইলিগ দ্বিতীয় ডিভিশনের মূলপর্বের তার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিতে মঙ্গলবার কল্যাণী চলে গেল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক এবং অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের তরফ থেকে করোনার জন্য জারি করা নির্দেশিকা ছাড়াও সেই নিয়মগুলির সাথে এবার আরও কিছু নিয়ম যোগ করতে চাইছে মহামেডান স্পোর্টিং।
কল্যাণীতে আবাসিক শিবির শুরু করার আগে দলের প্রতিটি খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকার তালিকা। সেই নিয়ম অনুযায়ী দলের সঙ্গে থাকবেন একজন চিকিৎসক। এই বিষয়ে ক্লাবের অর্থ সচিব শারিক আহমেদ জানান, “প্রত্যেক সপ্তাহে ফুটবলারদের করোনা পরীক্ষা হবে। দলের সঙ্গে ডাক্তার যাচ্ছে। তিনিও সপ্তাহে ৩-৪ দিন ফুটবলারদের পরীক্ষা করবেন।”
এছাড়াও টিম হোটেলে, প্র্যাকটিস মাঠে স্যানিটাইজিং টানেল থাকবে। ফুটবলারদের প্র্যাকটিস ছাড়া হোটেল থেকে বেরোনোর ওপর বিধিনিষেধও থাকবে। ফুটবলারদের জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই থাকতে হবে। অন্যদিকে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের প্রথম ক্লাব হিসেবে নিজেদের দল ঘোষণা করল সাদা-কালো ব্রিগেড। ৩৪ জনের দল ঘোষণা করা হলেও আরও এক ভারতীয় স্ট্রাইকারকে নেবে তারা, যিনি বর্তমানে আইএসএল-এর একটি দলের সাথে যুক্ত।
গোলকিপার – প্রিয়ন্ত কুমার সিং, শুভম রায়, মিরাজ আলি আটা (অনুর্ধ্ব ২২), মহম্মদ জাফর মন্ডল।
ডিফেন্ডার – সফিউল রহমান, সৌভিক ঘোষ, হিরা মন্ডল, সুজিত সাধু, অরিজিত সিং, কিংসলে ওবুম্নেমে এজে (বিদেশী), আনোয়ার আলি, বলবিন্দর সিং, নবি হোসেন।
মিডফিল্ডার – অভিষেক রিজাল (এশিয়ান কোটা), সুজয় দত্ত, সত্যম শর্মা, ফিরোজ আলি, তীর্থঙ্কর সরকার, সুরজ রাওয়াত (অনুর্ধ্ব ২২), ভানলাল বিয়া ছাংতে, লিয়ান্ডালা সেনা ফানাই, সঞ্জীব ঘোষ (অনুর্ধ্ব ২২), আদিত্য সাহা (অনুর্ধ্ব ২২)।
ফরোয়ার্ড – উইলিস ডিওন প্লাজা (বিদেশী), জসকরনপ্রীত সিং (অনুর্ধ্ব ২২), এমএস ডোয়াংলিয়ানা, সামসাদ আলি, স্যামুয়েল শাদাব, মইনুদ্দিন খান, প্রীতম সরকার, হিমাংশু জাংরা, শেখ ফৈয়াজ, সোহেল খাত্রি।
এবারের সাদা-কালো ব্রিগেডের দায়িত্বে রয়েছে পাঞ্জাব এফসির প্রাক্তন কোচ এবং কলকাতার ছেলে ইয়ান ল। আর এবারের মহামেডান কোচিং স্টাফ অত্যন্ত শক্তিশালী। এক নজরে এটিও দেখে নিই।
হেড কোচ – ইয়ান ল।
সহকারী কোচ – শাহিদ সুনকান্মি রামোন।
গোলকিপার কোচ – সুদীপ সরকার।
টেকনিকাল ডিরেক্টর – দীপেন্দু বিশ্বাস।
ফিসিও – পার্থ পাল।
টিম ম্যানেজার – বেলাল আহমেদ খান।