খেলা

ম’দ্য’প অবস্থায় স্ত্রীকে পেটানোর অভিযোগ শচীন তেন্ডুলকরের ছোটবেলার বন্ধু তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কাম্বলির বিরুদ্ধে, পুলিশে অভিযোগ স্ত্রীয়ের

অনেকদিন আগেই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। তবে মাঝেমধ্যেই নানান বিতর্কে জড়ানোর জেরে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। এবার ফের এক গুরুতর অভিযোগ উঠল প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির বিরুদ্ধে। ম’দ্য’প অবস্থায় স্ত্রীয়ের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে।

বান্দ্রা পুলিশের তরফে খবর, গত শুক্রবার বেলা ১টা-দেড়টা নাগাদ বান্দ্রার (পশ্চিম) ফ্ল্যাটে ম’দ্য’প অবস্থায় ফেরেন বিনোদ কাম্বলি। সেই সময় তাঁর স্ত্রী আন্দ্রে হেউইট বাড়িতেই ছিলেন। অভিযোগ, ম’দ্য’প অবস্থায় স্ত্রীয়ের উদ্দেশে অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকেন।

শুধু তাই-ই নয়, স্ত্রীকে মারধর করতেও উদ্যত হন কাম্বলি, এমনটাই অভিযোগ। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিল তাঁদের ১২ বছরের ছেলেও। বাবাকে আটকানোর চেষ্টা করে সে। কিন্তু নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কোনও কথাই শুনতে রাজি হননি কাম্বলি। ছুটে গিয়ে রান্নাঘর থেকে সসপ্যান নিয়ে আসেন তিনি। তা ছুঁড়ে মারেন আন্দ্রের দিকে।

স্বামীর এই মারে মাথায় বেশ গুরুতর চোট পান আন্দ্রে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরই আন্দ্রে ছুটে যান মুম্বই পুলিশের কাছে। কাম্বলির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

বান্দ্রা পুলিশ জানিয়েছে, শচীন তেন্ডুলকরের ছোটবেলার বন্ধু তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৪ ও ৫০৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। আন্দ্রে পুলিশকে জানান যে ম’দ্য’প অবস্থায় কোনও কারণ ছাড়াই তাঁর ও তাঁর ছেলের উপর চড়াও হন কাম্বলি। প্রথমে সসপ্যানের হাতল দিয়ে মারে। ব্যাট তুলেও আক্রমণ করেন কাম্বলি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বান্দ্রার একটি গির্জায় আন্দ্রের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কাম্বলি। যদিও এর অনেক আগেই খাতায়-কলমে বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন এই যুগল। ২০১০ সালে ছেলে হয় কাম্বলি ও আন্দ্রের। স্ত্রীকে ভালবেসে খ্রিস্ট ধর্মও গ্রহণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সেই স্ত্রীয়ের গায়েই হাত তোলার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন ভারতীয় তারকার বিরুদ্ধে।

বলে রাখি, গত বছর ম’দ্য’প অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল বিনোদ কাম্বলির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এবার গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে আইনি বিপাকে পড়লেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।

Related Articles

Back to top button