ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে চার ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে অনফিল্ড আম্পায়ার নিতীন মেননের সাথে তর্ক করতে দেখা গিয়েছিল। জো রুটের আউটের জন্য ডিআরএস নেওয়ার পরে থার্ড আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি ছিলেন না বিরাট। রুট এভাবে জীবনদান পেয়ে যান। আসলে দ্বিতীয় ইনিংসের আগে বিরাট কোহলিকে একইভাবে আউট দেওয়া হয়েছিল, যেরকম বলেই মেনন রুটকে নটআউট ঘোষণা করেন।
বিরাটকে মাঠের আম্পায়ারের সাথে তর্ক করতে দেখা গিয়েছিল, যার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছিল। বিরাট এবং মেননের মধ্যে বিতর্ক বিলম্ব সৃষ্টি করেছে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরক্তি বা বিতর্ক আইসিসির আচরণবিধির ২.৮ অনুচ্ছেদের অন্তর্ভুক্ত। এর জন্য খেলোয়াড়কে লেবেল ১ বা লেবেল 2 অপরাধের চার্জ করা যেতে পারে। এর জন্য খেলোয়াড়ের অ্যাকাউন্টে এক থেকে চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত করা হতে পারে।
২৪ মাসের মধ্যে যদি কোনও খেলোয়াড়ের অ্যাকাউন্টে চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়, তবে তাকে কোনও টেস্ট, বা দুটি ওয়ানডে বা দুটি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে সাসপেন্ড করা হতে পারে।
বিরাটের ইতিমধ্যে তার অ্যাকাউন্টে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট রয়েছে এবং তিনি যদি আরও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট পান তবে তাকে কোনও টেস্ট ম্যাচ থেকে সাসপেন্ড করা যেতে পারে। ম্যাচের চতুর্থ দিন টিম ইন্ডিয়া ৩১৭ রানে জিতেছে। আইসিসি এখনও এর জন্য বিরাট কোহলিকে কোনও সাজা দেয়নি।