ভারতে খেলাধুলার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্যোগী অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, তৈরি হচ্ছে নীল নকশা

করোনার জেরে প্রায় দুস্কর হয়ে উঠেছে মানুষের জীবনযাপন। লকডাউনের চলতে মানুষ গৃহবন্দী। তার মধ্যে সারা বিশ্ব জুড়ে সবরকম খেলাধুলোও বন্ধ। ভারতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হয় বাতিল, নয় তো স্থগিত রয়েছে নানান টুর্নামেন্ট। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে? এক না একদিন তো ময়দানে নামতেই হবে। তাছাড়া সরকারও দেশের কথা ভেবে লকডাউনের নিয়ম কিছুটা শিথিল করার পথেই হাঁটছে। আর ইউরোপের বহু দেশে ধীরে ধীরে খেলাধুলো শুরুও হচ্ছে। তাই ভারতও আর বসে থাকতে চায় না। যত শীঘ্র সম্ভব খেলাধুলো চালু করতে চায় ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (Indian Olympic Association)। আর তারই সূচনা হয়েছে একটি নীল নকশা তৈরির মাধ্যমে।
নীল নকশায় মাঠে ফিরে নিয়ে নানান কথা এবং সবার সাথে পরামর্শের কথা উল্লিখিত রয়েছে।
এর প্রথম অংশে রয়েছে,
১। আমাদের ধীরে ধীরে খেলার মাঠে ফিরতে হবে।
২। তবে প্রথমে শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা যায় এমন খেলা দিয়েই শুরু করতে হবে।
৩। এ বিষয়ে খেলার সঙ্গে যুক্ত সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
৪। ক্রীড়া, স্বাস্থ্য, গ্রাম ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সাহায্য নেবে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
৫। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন তার সমর্থকদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করবে। যাতে তাঁদের মনোভাব বোঝা যায়।
৬। খেলার মাঠে তারা কিভাবে ফিরতে পারে সেই বিষয়ে পরামর্শ এবং উপায় সংক্রান্ত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
এই নীল নকশার দ্বিতীয় অংশে খেলার সঙ্গে যুক্ত সবার সঙ্গে পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাতে কী কী প্রশ্ন করা হবে, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্নগুলি হল,
১। খেলার মাঠে ফেরার প্রক্রিয়া কেমন হবে। পাশাপাশি কোন সময়টা ফেরার জন্য ঠিক হবে?
২। নতুন করে খেলা শুরু করার আগে কী কী পরিবর্তন প্রয়োজন?
৩। খেলার মাঠে অ্যাথলিটদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং সামাজিক দুরত্ব কীভাবে বজায় রাখা সম্ভব?
৪। খেলা শুরুর পরপরই কি দর্শক ভরতি মাঠে খেলা সম্ভব?
৫। স্কুল, কলেজে স্থানীয় স্তরের খেলাধুলা কবে থেকে শুরু করা উচিৎ?
ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এই প্রশ্নগুলি অ্যাথলিট, কোচ, মেডিক্যাল স্টাফ ও অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফকে করবে। ম্যাচ অফিসিয়াল, সংবাদমাধ্যম, স্পনসরদের কাছেও পরামর্শ নেওয়া হবে। তারপর তাদের উত্তর এবং পরামর্শের ভিত্তিতেই আগামী ২০শে মে তারা একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। সেদিনই ভারতে খেলাধুলোর ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে তা স্পষ্ট করে জানা যাবে।