ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের এক অধ্যায়ের অবসান, সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন মিতালি রাজ

এই সময়টা যে আসুক, তা ক্রিকেটপ্রেমীরা একেবারেই চান নি। কিন্তু সময় তো আর থেমে থাকে না। কালের নিয়মে তা চলতেই থাকে। সেই কারণেই আগামীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে সরে এলেন তিনি। দীর্ঘ ২৩ বছরের ক্রিকেট জীবনকে বিদায় জানালেন মিতালি রাজ।
এই খবরটা শুনে বেশ মন খারাপ একাধিক রেকর্ডের মালকিনের অনুরাগীদের। যেন এক অধ্যায়ের অবসান ঘটল। ২৩ বছরের দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনের ইতি টানলেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট বাহিনীর অধিনায়ক।
আজ, বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্ট করে মিতালি লেখেন, “বাচ্চা মেয়ে হিসেবে দেশের জার্সি গায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছিলাম। তারপর নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে সময়। প্রত্যেকটা ধাপেই অনেক কিছু শিখেছি। এই দীর্ঘ ২৩টা বছরে নানারকম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল। দারুণ ভাবে উপভোগও করেছি। কিন্তু সব সফরই একটা জায়গায় এসে শেষ হয়। আর আমার মনে হয় এটাই অবসরের সঠিক সময়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ধরনের ফরম্যাট থেকে অবসর নিচ্ছি”।
অধিনায়ক বা একজন ব্যাটার হিসেবে তাঁকে আর মাঠে না দেখা গেলেও, অন্য কোনও ভূমিকায় তাঁকে দেখা যেতেই পারে। খেলার মাঠে অন্য কোনও ভূমিকায় দেখা মিলতে পারে মিতালির, হয়ত কোচ বা মেন্টর হিসেবে। নিজের এই পোস্টে তেমনও একটু আভাস দিয়েছেন মিতালি। লিখেছেন, “ক্রিকেটকে ভালবাসি। তাই অবসর নিলেও মহিলা ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থে এই খেলার সঙ্গে জড়িত থাকতে চাই”।
Cricketer Mithali Raj announces retirement from all forms of international cricket.
"It was an honour to have led the team for so many years. It definitely shaped me as a person & hopefully helped shape Indian Women's Cricket as well," her statement reads. pic.twitter.com/2eWZLPTrco
— ANI (@ANI) June 8, 2022
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ক্রিকেটে কেরিয়ার শুরু করেন মিতালি। নিজের কঠোর পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির জেরেই ২৩ বছরে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটকে নানান সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি। বিসিসিআই তো তাঁকে ব্যাটার হিসেবে শচীন তেন্ডুলকরের সঙ্গে একই আসনে বসায়। মিতালি বিশ্বের একমাত্র মহিলা ক্রিকেটার যিনি ১০ হাজার রান করেছেন।
এছাড়াও, আটবার আইসিসি ওয়ানডে ব়্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর স্থান ছিল তাঁর দখলে। শুধু ব্যাটার হিসেবেই নয়, দলকে নেতৃত্ব দিয়েও একাধিক ট্রফি জিতিয়েছেন মিতালি। ২০১৭ সালে তাঁর অধিনায়কত্বেই ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল।