খেলা

করোনা আবহে স্তব্ধ ময়দান, সঙ্কটে ক্যান্টিন মালিকরা

করোনা আবহে বদলে গিয়েছে শহরের সব কিছুই। সেই সঙ্গে বদল হয়েছে ময়দানের ফুটবলের আদব-কায়দায়ও। এখন আর দেখা যায় না খেলার জন্য ময়দানের চেনা ভিড়। সেই মার্চ মাস থেকে করোনা লকডাউনের কারণে মাঠে আসছে না ফুটবলাররা। আসছেন না সমর্থকরাও। সেই কারণেই বন্ধ ময়দানের ক্যান্টিন। ময়দানের বিভিন্ন ক্লাব সহ সিএবির ক্যান্টিনের উনুনে জ্বলছে না আগুন। চা-কফি থেকে শুরু করে টোস্ট, চপ সবই মিলতো সেখানে।

শুধু অনুশীলন করতে আসা ফুটবলার কিংবা খেলা দেখতে আসা ক্লাবের সমর্থকরাই নন ক্যান্টিনে আড্ডার আসর বসাতেন বিভিন্ন ক্লাবকর্তারাও। এই করোনা আবহে তাই চরম সঙ্কটে ময়দানের ক্যান্টিন মালিকরা। ক্যান্টিন না চলায় কর্মচারীরাও ফিরে গিয়েছেন নিজেদের বাড়িতে। ময়দানের অন্যতম ক্লাব মোহনবাগানের ক্যান্টিন চালান পলাশ মুখোপাধ্যায় ওরফে কাজুদা। তাঁর ক্যান্টিন এখন বন্ধ। তবে জানা গিয়েছে, মাঠে খেলা থাকলে তাঁর ক্যান্টিনে একদিনে বিক্রি হত প্রায় ২৫ হাজার টাকার। খেলা না থাকলেও কম করে ৩-৪ হাজার টাকার বিক্রি হত। এখন করোনা আবহে বন্ধ সেই সব ক্যান্টিন, সতর্কতা মেনে চললেও ঝুঁকি নিতে নারাজ ক্যান্টিন মালিক কাজুদা। শুধু মোহনবাগান নয়, তিনি সিটি ক্লাব এবং কবাডি অ্যাসোসিয়েশনের ক্যান্টিনও চালান।

একই অবস্থা সিএবি ক্যান্টিনেও, এই বছর আইপিএলও হল না। তাই দুর্দশার সময় চলছে ক্যান্টিন মালিকদের। আনলক চললেও করোনা এখন চরম পর্যায়ে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ক্যান্টিন খুললে খরচও বাড়বে। একসাথে রান্নার কাজ করতে গেলে কি আর সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব? তাই ময়দানে কবে খেলা শুরু হবে, আগের মতো অনুশীলন করতে আসবেন খেলোয়াড়েরা, আড্ডা জমাবেন সমর্থকেরা আর কবে ক্যান্টিনের উনুন জ্বলবে তা সময়ই বলবে।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button