খেলাফুটবল

বিদায় বেলায়: মেসি-রোনাল্ডোর যুগেও অমর থাকবেন ফুটবলের রাজপুত্র মারাদোনা

“e non sanno che se so perso” অর্থাৎ “তুমি জানো না তুমি কি হারিয়েছো”। নাপোলি শহরের স্থানীয় কবরস্থানের প্রবেশপথে একটি ব্যানার এই লেখাই প্রদর্শন করে। বুধবার মাত্র ৬০ বছর বয়সেই প্রয়াত হয়েছেন ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনা। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা ফুটবল বিশ্বে। ফুটবলার হিসেবে তার জনপ্রিয়তা নিয়ে আর কিছু বলার অবকাশ থাকে না। প্রিয় ফুটবলার মারাদোনার মৃত্যুতে শোকে আচ্ছন্ন ইতালির নাপোলি শহর।

 

কেউ যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না ১৯৮৬ সালে আর্জেন্তিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো মারাদোনা আর নেই। সেই বছর পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারায় আর্জেন্তিনা। সেই বছরই বিশ্বকাপে সেরা ফুটবলার হিসেবে গোল্ডেন বল জেতেন তিনি। ১৯৭৮ সালে মারিও কেম্পেসের পর মারাদোনা দ্বিতীয় আর্জেন্টাইন হিসবে গোল্ডেন বল জিতেছিলেন। এই বিশ্বকাপে তিনি ৫৪ বার ফাউল হয়েছিলেন, যা ব্যক্তিগত ভাবে ঐ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ। এর পরে ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ফের ফাইনালে তোলেন তিনি। তবে এবার আর ট্রফি আসেনি, ০-১ গোলে হারতে হয় জার্মানির কাছে।

 

Diego Maradona, legendary Argentina superstar, global soccer icon, dies at age 60 - CBSSports.com

 

আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ টি ম্যাচ খেলে ৩৪ টি গোল করেন তিনি। তাঁর বাম পায়ের জাদুতে মুগ্ধ ছিল ফুটবল জগৎ। সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনার তিনজন ফুটবলার বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালে ফিফা যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী দল ছিল আর্জেন্টিনা। সেই প্রতিযোগিতায় গোল্ডেন বল পেয়েছিলেন মারাদোনা। তিনটি অ্যাসিস্ট সহ তিনি ছয়টি গোল করেছিলেন।

 

দুটি পৃথক পুরুষদের বিশ্বকাপ ফাইনালে তার দেশের অধিনায়কত্ব করেন মারাদোনা। এমনটা করা তিনি তৃতীয় ফুটবলার, এর আগে ব্রাজিলের দুঙ্গা এবং জার্মানির বেকেনবাউয়ার নিজেদের দেশের অধিনায়কত্ব করেছিলেন। চারটি বিশ্বকাপে মারাদোনা ১৫২ ফ্রি কিক জিতেছে, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বাধিক। ২০১০ সালে জার্মানির কাছে পরাস্ত হওয়ার আগে তিনি তাঁর দেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে কোচিং করেছিলেন। মেসি, রোনাল্ডোর যুগে তিনি আজ এবং ভবিষ্যতেও ফুটবলের রাজপুত্র হিসেবে থেকে যাবেন। ভবিষ্যতে আরও তারকা ফুটবলার আসলেও মারাদোনা অমর।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button