কার্তিক পূর্ণিমার দিন কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকা কী কী দান করলে শুভ বলে মনে করা হয়, জেনে নিন একঝলকে
দীপাবলির ঠিক ১৫ দিন পর পালিত হয় কার্তিক পূর্ণিমা। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমাকে বলা হয়ে থাকে কার্তিক পূর্ণিমা। হিন্দু ধর্মে এই কার্তিক পূর্ণিমার একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কার্তিক মাসের এই পূর্ণিমা ত্রিপুরারী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত।
এই বছর কার্তিক পূর্ণিমা পড়েছে ১৯শে নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার। সমস্ত পূর্ণিমার মধ্যে এই কার্তিক পূর্ণিমাকে সবথেকে বেশি শুভ বলে মনে করা হয়। এদিন দীপাবলির মতোই বাড়িতে জ্বালানো হয় প্রদীপ। এদিন ভগবান ভোলেনাথ ত্রিপুরাসুর রাক্ষসকে বধ করেছিলেন বলে জানা যায়, আর এই খুশিতে সমস্ত দেবতারা প্রদীপ জ্বালিয়ে সেই আনন্দ উদযাপন করেছিলেন।
পুরাণ অনুযায়ী, এই কার্তিক পূর্ণিমার দিন ভগবান বিষ্ণু মৎস্যের অবতার ধারণ করেছিলেন। এই দিন নদীতে স্নান করা পবিত্র বলে মনে করা হয়। এদিন ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর পুজো করা হয়। এদিন গরীবদের গরম কাপড়, গরম জিনিস দান করাকে শুভ বলে ধরা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এদিন বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর পুজো করলে সমস্ত ঝামেলা দূর হয়।
কার্তিক পূর্ণিমার দিন রাশি অনুযায়ী কী কী জিনিস দান করা উচিত, জেনে নিনঃ
মেষ- গুড় দান করুন
বৃষ- গরম বস্ত্র দান করুন
মিথুন- মুগ ডাল দান করুন
কর্কট- ধান দান করুন
সিংহ- গম দান করুন
কর্কট- সবুজ খাদ্য করুন
তুলা- খাদ্য দান করুন
বৃশ্চিক- গুড় এবং ছোলা দান করুন
ধনু – গরম খাবার, যেমন বাজরা, দান করুন
মকর- কম্বল দান করুন
কুম্ভ- কালো বিউলির ডাল দান করুন
মীন – হলুদ ও বেসনের তৈরি মিষ্টি দান করুন
কার্তিক পূর্ণিমার নির্ঘণ্ট
এই বছর কার্তিক পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ১৮ই নভেম্বর দুপুর ১২টা থেকে। এই পূর্ণিমা থাকবে ১৯শে নভেম্বর দুপুর ২.২৭টা পর্যন্ত থাকবে। ১৮ই নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দেব দীপাবলি উৎসব পালিত হবে।
তাৎপর্য
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে গঙ্গা-যমুনার ঘাটে দীপাবলি পালিত হয়। এই কারণে এদিন গঙ্গা স্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। এর পাশাপাশি এদিন নদীতে প্রদীপ দান করলে দীর্ঘায়ু হওয়ার স্বপ্ন সফল হয়। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর উপবাস ও পূজা করার বিধান রয়েছে। এই দিনে তুলসী বিভা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এই দিনে তুলসীর পূজা করলে সৌভাগ্য হয় এবং সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয় বলে জানা যায়।