তৈরি থাকুন! সেভিংস অ্যাকাউন্টের জন্য আসতে পারেন নয়া বদল
দেশজুড়ে চলা লকডাউন এর জন্য আর্থিক ক্ষেত্রে কিছু বড়োসড়ো বদল এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তিন মাস আগে ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য একটি বিশেষ ঘোষণা করেছিলেন। তার নির্দেশিকা অনুযায়ী লগ্ন শুরু হওয়ার পর তিন মাস কোন সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখাটা বাধ্যতামূলক নয়।অর্থাৎ এপ্রিম, মে ও জুন মাসের জন্য এই নিয়ম লাগু করা হবে ৷
আর দিন কয়েকের মধ্যেই শেষ হতে চলেছে জুন মাস। জুলাই মাস থেকে কি সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখতেই হবে এই প্রশ্নই এবার উঠতে শুরু করেছে গ্রাহকদের মধ্যে। তবে এখনও পর্যন্ত অর্থমন্ত্রক বা ব্যাঙ্কের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি যে এই ছাড় আরও বাড়ানো হবে কিনা ৷
সরকারের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে এই তিন মাসে সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখলেও তার জন্য ব্যাঙ্ক কোনও পেনাল্টি কাটতে পারবে না ৷ নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক ব্যাঙ্ক তাদের ন্যূনতম ব্যালেন্স ঠিক করে থাকে এবং সেই টাকা প্রত্যেক মাসে অ্যাকাউন্টে রাখতে হয় ৷ ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখলে গ্রাহকদের থেকে জরিমানা নিয়ে থাকে ব্যাঙ্ক ৷ সেই জরিমানা কতটা কি হবে সেটা নির্ভর করে ব্যাঙ্কের উপরেই।
কেন্দ্র সরকারের ঘোষণার আগেই স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখা নিয়ম তুলে নেওয়া হয়েছিল৷ দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ১১ মার্চ একটি বয়ানে জানিয়েছিল,‘স্টেট ব্যাঙ্কের ৪৪.৫১ কোটি গ্রাহকদের থেকে ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখার জন্য কোনও পেনাল্টি নেওয়া হবে না ৷ এর আগে মেট্রো শহরের ক্ষেত্রে ৩০০০ টাকা, শহরতলির জন্য ২০০০ টাকা ও গ্রামীণ এলাকার ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টে রাখা বাধ্যতামূলক ছিল ৷ ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখলে গ্রাহকদের থেকে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত জরিমানা নেওয়া হত ৷ এখন জুন মাসের পর স্টেট ব্যাঙ্ক নতুন করে এই বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেয় কিনা তারই অপেক্ষায় রয়েছেন গ্রাহকরা।
লকডাউনের সময় এটিএম থেকে টাকার তোলার জন্য যে চার্জ দিতে হয় তাতেও ছাড় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল যে তিন মাসে যে কোনও এটিএম থেকে টাকা তোলা যেতে পারে ৷ এর জন্য লাগবে না কোনও চার্জ৷ ক্যাশ তোলার জন্য যাতে ব্যাঙ্কে ভিড় জমা না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু এই ছাড় জুন ৩০ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল৷ ৩০ জুনের পরও কী কার্যকর থাকবে এই নিয়ম নাকি বদলাতে চলেছে তাই নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। এখন এই বিষয়ে পুরোপুরিভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছে ব্যাঙ্কগুলি।