যারা বেআইনিভাবে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন তারা নিজেরা চাকরি ছাড়ুন, নাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
টাকা দিয়ে বেআইনিভাবে যারা স্কুলে চাকরি পেয়েছেন, তারা নিজে থেকে ইস্তফাদিন। তা না হলে তাদের সকলের চাকরি বরখাস্ত হব। এমনকি, ভবিষ্যতে তারা যাতে কোনও সরকারি চাকরি না পা, তাও ব্যবস্থা করবে আদালত। আজ, বুধবার বেআইনিভাবে স্কুল শিক্ষক ও অশিক্ষক অদে কর্মরতদের এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
রাজ্যে স্কুল শিক্ষক ও অশিক্ষক নিয়োগে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। সেই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ করে বলেন যে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগের পরীক্ষার উত্তরপত্রে কিছু না লিখেও কোনও কোনও চাকরিপ্রার্থী নম্বর পেয়ে গিয়েছেন। এমনকি, স্কুলের চাকরির জন্য নিয়োগপত্রও পেয়েছেন তারা।
আজ, বুধবার তিনি বলেন, “নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রচুর সংখ্যক সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছে। কিছু খাতায় শুধুমাত্র পাঁচ-ছ’টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। তার পরও (ওই চাকরিপ্রার্থীরা) ৫৩ নম্বর পেয়েছেন। এ ছাড়া গ্রুপ ‘সি’ এবং গ্রুপ ‘ডি’-র পরীক্ষায়ও একই জিনিস হয়েছে”।
কতজনকে বেআইনি ভাবে চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, “৩রা অক্টোবর স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বৈঠক করতে হবে। সাদা খাতা জমা দেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে কাদের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে, তা-ও নিশ্চিত করবে তারা”।
বিচারপতির জানিয়েছেন, “বেআইনি ভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের ইস্তফা দেওয়ার জন্য সুযোগ দিচ্ছে এই আদালত। ৭ নভেম্বরের মধ্যে ইস্তফা দিতে হবে তাঁদের। তা না হলে আগামী দিনে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আদালত”।
বেশ হুঁশিয়ারির সুরেই বিচারপতি বলেন, “নিজে থেকে ইস্তফা না দিলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। পাশাপাশি, আদালত নির্দেশ দেবে যাতে ভবিষ্যতে কোনও সরকারি চাকরিতে তাঁরা অংশ নিতে না পারেন”।