কলকাতা

নবান্ন অভিযানে বেআইনিভাবে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করার অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

বিজেপির নবান্ন অভিযানে বিজেপি কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার আজ, শুক্রবার রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার এই রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের নানান দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। এই অভিযানকে ঘিরে হাওড়া ও কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ বেশ উত্তাল হয়। এই অভিযানে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা ও গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই অভিযানে আক্রান্ত হন কলকাতা পুলিশকর্মীও।

বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অপ্রয়োজনীয় ভাবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বড়বাজারের ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে রাজারহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে”।

বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল যে নবান্ন অভিযানে পুলিশের হামলার জেরে একাধিক বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের হামলার প্রেক্ষিতে এর আগে হাইকোর্টের তরফে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। এও বলা হয়েছিল যাতে রাজ্যের তরফে বিজেপির রাজ্য দফতরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে যাতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে কাউকে গ্রেফতার না করা হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলা হয় রাজ্যকে।

রাজ্যের তরফে সওয়াল করতে গিয়ে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে বলেছিলেন, “বিজেপির কর্মসূচির নাম নবান্ন অভিযান। নবান্নের চারিদিকে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ফলে সেখানে অবৈধ জমায়েত বা মিছিলে পুলিশ বাধা দেবে সেটাই স্বাভাবিক। আন্দোলনকারীদের পুলিশ বার বার পিছিয়ে যেতে বলেছে”।

তিনি আরও বলেন, “শান্তিপূর্ণ মিছিলের কথা বলা হচ্ছে। প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। ইট ছোড়া হয়েছে। কলকাতার এমজি রোড, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর হয়েছে। রাস্তার বাতিস্তম্ভ, পুলিশের কিয়স্ক ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি পুলিশকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন অনেক বেশি পুলিশ। এটাই কি শান্তিপূর্ণ মিছিলের নমুনা? শান্তি বজায় রাখার জন্যই পুলিশ আটক করেছে”।

Related Articles

Back to top button