India

করোনা চিকিৎসায় ফ্যাবিফ্লু’র মোট খরচ ১২,৫০০টাকা, মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে!

বিজ্ঞাপন

করোনার প্রকোপ যেমন বাড়ছে তেমনভাবে করোনার জন্য বাজারে আসছে নতুন নতুন ওষুধও। কিন্তু করোনার ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত ফ্যাবিফ্লুর (Faviflu) দাম এখন মধ্যবিত্তের পকেটের বাইরে। যার চলতে গ্লেনমার্ক সংস্থার বিরুদ্ধে নোটিস জারি করলো সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)। শুধু চড়া দামই নয় ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে যে দাবি করেছিল সংস্থা তাও নাকি সঠিক নয়।

বিজ্ঞাপন

জুনের মাঝামাঝি করোনার চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ের গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস (Glenmark Pharmaceuticals)কে ফ্যাবিফ্লু (Faviflu) ওষুধটির জন্য ছাড়পত্র দেয় ইন্ডিয়ান ড্রাগ কন্ট্রোল (DCGI) বোর্ড। এরপর ২০শে জুন থেকে বাজারে এই ওষুধটি নিয়ে আসার কথা জানানো হয়। এই ওষুধের কার্যকারিতা হিসেবে বলা হয়, সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে অত্যধিক জ্বর বা সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে কাজ দেবে এই ওষুধ। একটি ওষুধের দাম ১০৩ টাকা করেও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের ছাড়পত্রের পরও এই ওষুধের মান নিয়ে বিপাকে পড়েছে সংস্থা। ওষুধের মান নির্ধারক সংস্থার (CDSCO) দাবি, ফ্যাবিফ্লু (Faviflu) নিয়ে এক সাংসদ তাঁদের চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন, গ্লেনমার্ক (Glenmark) সংস্থা এই ওষুধের জন্য যে মূল্য বরাদ্দ করেছে তা নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের সাধ্যের বাইরে। CDSCO জানান, ওই সংস্থা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ১০৩ টাকা করে রাখা হয়েছে। আর করোনা আক্রান্ত রোগীকে মোট ১৪ দিন ধরে এই ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে মোট ১২২টি ট্যাবলেট তাঁকে খেতে হবে। ফলে একজন রোগীর শুধু ফ্যাবিফ্লুর (Faviflu) জন্য খরচ হবে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া এই ওষুধের ব্যবহার নিয়েও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। CDSCOর বক্তব্য, “গ্লেনমার্ক জানিয়েছিল ফ্যাবিফ্লু কো-মরবিড পরিস্থিতিতে হাইপার টেনশন এবং ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে। অথচ এর কোনও পরীক্ষাই হয়নি।’ এবার তাই সাংসদের চিঠি পেয়ে গ্লেনমার্ককে নোটিস পাঠালো কেন্দ্রীয় সংস্থা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading