করোনায় মারা গেলে ক্ষতিপূরণ পেতে না, তাঁর থেকে বরং ভালো হয়েছে ধর্ষণ হয়েছেঃ নির্যাতিতার পরিবারকে হাথরাস জেলাশাসক
করোনায় মারা গেলে তো ক্ষতিপূরণ পেতে না। তাঁর থেকে বরং ভালো হয়েছে ধর্ষণ হয়েছে। মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছো। তাই এটা ভালো। ভাবখানা এমনই জেলাশাসকের। উত্তরপ্রদেশের নির্যাতিতার পরিবার বলেছে, ডিএম তাঁদের বলেন যে, আপনাদের অ্যাকাউন্টে ২৫ লক্ষ টাকা এসে গিয়েছে, তো চুপ করে থাকুন। আপনাদের মেয়ে করোনায় মরলে তো ক্ষতিপূরণ টুকুও পেতেন না।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে প্রায় ২৭ ঘণ্টা অপেক্ষার পর নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি পান সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। গতকাল থেকেই লাগাতার বিভিন্নভাবে সাংবাদিকদের নির্যাতিতার বাড়িতে যেতে বাধার সৃষ্টি করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাংবাদিকদের দেখা না করার অর্ডার রয়েছে বললেও, কোনও লিখিত আদেশনামা দেখাতে ব্যর্থ হন উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। পুলিশ জানায় তদন্তকারী দল (সিট)- ওই বাড়িতে রয়েছে তাই সংবাদমাধ্যমকে যেতে দেওয়া হবে না। এতে ঘটনার তদন্তে বিঘ্ন হতে পারে।
কিন্তু আজ সংবাদমাধ্যমকে দেখে পরিবারের সদস্যরা সাফ জানিয়েছেন, গতকাল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর কোনও প্রতিনিধি বাড়িতে আসেনি। শুধুমাত্র পুলিশ এসেছিল। আমাদের কাউকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়নি।
সংবাদমাধ্যমের কাছে নির্যাতিতার পরিবারের আরও অভিযোগ, পুলিশের জানানো উচিত কাকে জ্বালানো হয়েছে। চিতা থেকে অস্থি সংগ্রহ করতে তাঁরা যাননি এই কারণে যে, তাঁদের জানা নেই যে, যার দেহ পোড়ানো হয়েছে, তিনি তাঁদের মেয়ে, না অন্য কেউ। কারণ, তাঁদের মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে পরিবারের প্রশ্ন, কার অনুমতি নিয়ে তাঁদের মেয়েকে পোড়ানো হয়েছে।
নির্যাতিতার পরিবার সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছে, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। কারুর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়নি। ডিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। নির্যাতিতার ভাই অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সবার ফোনে নজরদারি রাখা হচ্ছে। ডিএম তাঁদের হুমকি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য গতকাল হাথরসে নির্যাতিতার বাড়িতে যেতে বাধা দেওয়া হয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের। হাথরসের মহকুমা শাসক প্রেমপ্রকাশ মিনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। অভিযোগে উল্লেখ, গতকাল হাথরসে নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার সময় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের ধাক্কা মারেন, দুর্ব্যবহার করেন মহকুমাশাসক।