পিসিকে অনুকরণ করে প্রচারে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, ভোটে না দাঁড়িয়েও বড় জিত হাসিল ভাইপোর
গতকালই ফয়সালা হয়ে গিয়েছে যে নীলবাড়ি আসলে কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার প্রমাণ করে দিয়েছেন যে নানান বিজেপির হেভিওয়েট নেতার সামনে তিনি একাই একশো। তবে তাঁর ছায়াসঙ্গী, যার কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী না হয়েও কীভাবে জিত হাসিল করা সম্ভব, তা করে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দলের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তো বটেই, এরই সঙ্গে প্রায় গোটা মন্ত্রিসভাকেই ভোটের লড়াইয়ে ময়দানে নামিয়েছিল গেরুয়া শিবির। ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী ও আরও অনেকে। তাদের প্রতিপক্ষ ছিলেন দু’জন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোট প্রচারে নেমে দুর্নীতির বিষয়ে বারবার অভিষেককে নিশানা করেছিলেন বিজেপি-র নেতারা। একের পর এক বাক্যবাণে তাঁরা বিঁধেছেন অভিষেককে। বিজেপি নেতাদের মুখে ‘ভাইপো’ ছিল অন্যতম উচ্চারণ। ঘটনাচক্রে এই ভোট পর্বেই অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কয়লা-কাণ্ডে নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাঁর বাড়িও পৌঁছে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।
সেই ঘটনাপ্রবাহের স্রোত আছ়ড়ে পড়ে ভোটযুদ্ধে, অভিষেকের বিরুদ্ধেও। কিন্তু একের পর এক ‘বিদ্রূপ’ সহ্য করে ঠান্ডা মাথায় ঠিক ‘খেলা’ চালিয়ে গিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। এর ফলও মিলেছে হাতেনাতে। অভিষেকের গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কেবলমাত্র ভাঙড় জয় করেছেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ-এর নওশাদ সিদ্দিকি। বাকি ৩০টি আসনেই জিতেছে জোড়াফুল শিবির।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে বিজেপি একাধিক তারকা প্রচারককে মাঠে নামায়। সেখানে তৃণমূলের তরফে প্রচারের মুখ বলতে ছিলেন মমতা ও অভিষেক। রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পিসির মতোই ছুটে বেড়িয়েছেন অভিষেকও। পিসি-ভাইপোর এই মিলিত প্রচেষ্টাই ফের তাদের জয়ের মুখ দেখিয়েছে।
(সবার আগে সব খবর, সঠিক খবর জানতে ফলো করুন আমাদের Google News, Whatsapp, Facebook, X Handle (Twitter), Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)