পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থে কেন্দ্রের সাথে কথা বলুক রাজ্য, পরামর্শ অধীর চৌধুরির
করোনার জেরে এখন সারা দেশে লকডাউন জারি রয়েছে। প্রথম দফার লকডাউন শেষে ১৪ই এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। যার মেয়াদ স্থির হয়েছে ৩রা মে পর্যন্ত। লকডাউনের কারণে স্থগিত হয়েছে সমস্ত গণপরিবহন ব্যবস্থা। যার জন্য অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা সেখানেই আটকে পড়েছেন। কিন্তু এই লকডাউনের বাজারে কারখানা বন্ধ থাকায় তাদের দিন কাটানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যার মধ্যে দাঁড়িয়ে তারা বারবার তাদের রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য ভিক্ষা করছেন এবং তাদের নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন।
সেই ভিনরাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে বারবার সরব হতে দেখা গেছে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই সমস্যা নিয়ে আগেই চিঠি লিখেছেন তিনি। এবার মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি লিখলেন অধীরবাবু।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “সারা ভারতবর্ষে লকডাউনের জন্য বাংলার বহু মানুষ অন্যরাজ্যে আটকে পড়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই দিনমজুর, শ্রমিক, রোজগারহীন, অসহায়। এছাড়াও কেউ পড়তে গিয়ে, কেউ চিকিৎসার জন্য ভিনরাজ্য থেকে ফিরতে পারেননি।” অধীর চৌধুরি বলছেন, গত তিন সপ্তাহে বহু মানুষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পরিস্হিতির কথা জানিয়েছেন। তিনিও তাঁর সাধ্যমতো চেষ্টাও করছেন। কিন্ত তাঁর একার পক্ষে কতটাই বা করা সম্ভব! কেন্দ্র ও রাজ্যের সাহায্য ছাড়া শ্রমিকদের দুরাবস্থা দূর করা যাবে না।
এমতাবস্থায়, রাজ্য সরকারকে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থে কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন অধীরবাবু। যারা ভিনরাজ্যে আটকে আছেন তাঁদের জন্য বাংলাভাষায় কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন খোলা হোক এবং সেই হেল্পলাইনে নাম নথিভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছে এদের জন্য সুব্যবস্থা করার আবেদন জানানো হোক। কিন্তু লকডাউন দীর্ঘ সময়ের জন্য হলে তা সম্ভবপর নয়, সেক্ষেত্রে এদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
অধীরবাবু জানিয়েছেন, “আমি পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে আগেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছি। আপনিও বাংলার মানুষের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করলে, আমাকে পাশে পাবেন।” এছাড়া বাংলার রেশন দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা। তাঁর দাবি, জাতি, ধর্ম, দল নির্বিশেষে সবার জন্য রেশনের সুব্যবস্থা করতে হবে। সবাই যেন রেশন সামগ্রী পায় সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে রেশন সমস্যার জন্য আলাদা হেল্পলাইন খোলার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
(সবার আগে সব খবর, সঠিক খবর জানতে ফলো করুন আমাদের Google News, Whatsapp, Facebook, X Handle (Twitter), Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)