নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে দলের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং, আঙুল তুললেন শাসকদলের দিকে
বিগত বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মীদের একই কায়দায় লাশ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। গেরুয়া শিবিরের স্পষ্ট ইঙ্গিত তৃণমূলের দিকে যদিও তৃণমূল বলছে এই সকল ঘটনা নিজেদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। সম্প্রতি মথুরাপুরে আরও এক বিজেপি নেতা গৌতম পাত্রের লাশ উদ্ধার ঘিরে সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে দেখা করতে গেলেন রাজ্য বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক শ্রী সঞ্জয় সিং। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গৌতম চৌধুরী, রাজ্য বিজেপি যুব নেতা রাজু সরকার ও জেলা সভাপতি দীপঙ্কর জানা।
নিহত গৌতম পাত্রের স্ত্রী সীমা রানী পাত্র এবং পুত্র সৌমিত্র পাত্র এর সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি’র এই শীর্ষ নেতারা। সঞ্জয় সিং গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন তৃণমূলকে। এছাড়াও বিজেপি যে নিহত নেতার পরিবারের পাশে রয়েছে সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
মথুরাপুর লোকসভার অন্তর্ভুক্ত, ১৩২-সাগর বিধান সভার অন্তর্গত সাগর মণ্ডল-১ এর ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২-নং বুথের দায়িত্বে ছিলেন গৌতম পাত্র। তাঁকে গত পরশু ভোর বেলায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, গৌতম বাবু একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। দলের প্রতি একনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই তৃণমূলের লোকজন তাঁকে খুন করেছে।
জানা গিয়েছে গৌতম বাবু তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন। গোটা ঘটনায় তাঁর পরিবার আতঙ্কিত এবং তাঁরা বুঝতে পারছেন না এখন তাঁরা কী করবেন। এই পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করায় তাঁরা অনেকটাই মনোবল পেলেন বলে মনে করছেন দলীয় সদস্যরা।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের উপর আক্রমণ এবং খুন করার অভিযোগ উঠছে তৃণমূল সদস্যদের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের দাবি এই সকল ঘটনা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের কিন্তু রাজ্যজুড়ে বারংবার বিজেপি সমর্থক ও কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অন্য কথা বলছে।