আমির-কাণ্ডে এবার সল্টলেকের অফিসে হানা কলকাতা পুলিশের, উদ্ধার অসংখ্য সিম-হার্ডডিস্ক, মোবাইল গেম প্রতারণায় আটক মহিলা-সহ আরও ৫
মোবাইল গেম প্রতারণা মামলায় এবার সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি অফিসে হানা দেয় কলকাতা পুলিশ। গতকাল, বুধবার মাঝরাতে গোদরেজ ওয়াটার সাইড বিল্ডিংয়ের এই অফিসে তল্লাশি চালিয়ে অসংখ্য সিম কার্ড ও হার্ডডিস্ক উদ্ধার করে পুলিশ। এই তল্লাশির পর পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে গার্ডেনরিচকাণ্ডে ধৃত ব্যবসায়ী আমির খানের সঙ্গে এই বেআইনি ব্যবসায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। এরপরই গতকাল, বুধবার রাতে গোদরেজ ওয়াটার সাইড বিল্ডিংয়ের ওই অফিসে হানা দেয় কলকাতা পুলিশ। সেখান থেকে প্রচুর হার্ড ডিস্ক ও সিমকার্ড উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, সবকটি সিমকার্ডই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করানো। সেই সবকিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী, অফিসে হানা দেওয়ার পর পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হল- প্রসেনজিৎ সরকার (৩২), রাহুল পাল (৩৭), সমিত মণ্ডল (৩৭), প্রতীক বাজপেয়ী (২৯) ও সোমা নস্কর (২৮)। এদের মধ্যে ধৃত সোমা নস্করের ব্যাঙ্ক অ্যাাকাউন্টে ৩০ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে খবর।। এই অ্যাকাউন্টে বিদেশি মুদ্রাও ঢুকত বলে অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১০ই সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচ এলাকার বাসিন্দা আমির খানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সময় অবশ্য বাড়ি ছিলেন না আমির। তার বাড়ির খাটের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১৮ কোটি টাকা। মোবাইল গেমের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা পেত আমির। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এর কিছুদিন পর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত আমির খানকে। তাকে জেরার পরই একের পনেক তথ্য উঠে আসে এই মামলায়। গত মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় কলকাতা পুলিশ জানতে পারে যে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টাকা লেনদেন হত। আর এবার তাতে আরও অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও নাম জড়াল।
এরপরই গতকাল, বুধবার রাতেই আচমকা সল্টলেকে ওই অফিসে তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ। এবার এই ঘটনায় আরও কার কার নাম জড়ায়, এখন সেটাই দেখার।