“লাটে উঠছে ঠাকুর দেখা, গাড়ি ট্যাঙ্ক ফুল্টু ফাঁকা”, পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গানে গানে এবার কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ কুনাল ঘোষের
তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক আবার লেখক। এবার এক নতুন চরিত্রে দেখা গেল তাঁকে। সামনেই পুজো। বাজারদরের যা অবস্থা, তাতে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত পড়ার জোগাড়। তবে সমস্ত বিরোধী শক্তি একত্র হয়ে প্রতিবাদের সেরকম আঁচ নেই। গত এক বছর ধরে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষ বেশ ক্ষিপ্ত। এবার সেই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে নতুন গান নিয়ে হাজির হলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।
দক্ষিণ কলকাতার এক স্টুডিয়োয় সেই গান রেকর্ড করেন কুণাল। গানটিতে রয়েছে তেলের দাম এমন জায়গায় উঠে থাকলে পুজোয় সাধারণ মানুষের চলবে কী করে। কী রয়েছে গানের কথায়? কুণাল গেয়েছেন, তেলের দামে লাগছে ছ্যাঁকা/ লাটে উঠছে ঠাকুর দেখা/গাড়ি ট্যাঙ্ক ফুল্টু ফাঁকা/তেল ভরিয়ে দে মা ঊমা/ তেল ভরিয়ে দে/ নইলে দাম কমিয়ে দে।
প্রসঙ্গত, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। প্রতিদিন মধ্যরাতে তেলের দাম নির্ধারিত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের উপর ভিত্তি করে এই দাম স্থির হয়। তবে সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে তেলের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছিল।
তবে এই পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়েছে ভারত সরকার। রাশিয়া থেকে তেল সরবরাহ করার জেরে পেট্রোল ডিজেলের দাম কিছুটা কম করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন ছিল যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম পেট্রোল-ডিজেলের দাম কেন কম হচ্ছে না। কেন্দ্র সরকার পেট্রোল-ডিজেলের ওপর শুল্ক কমালেও অনেক রাজ্যই সেই শুল্ক কম করেনি।
বলে রাখি, বিরোধিতের নানান ভাবে নানান সময় বেশ চাঁচাছোলা ভাষাতেই আক্রমণ করে থাকেন কুণাল ঘোষ। অনেক সময় তাঁর নানান মন্তব্য দলকে অস্বস্তিত ফেলেছে। কিছুদিন আগেই প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর দলের নেতার বিরুদ্ধে আক্রমণ সানান কুনাল। সম্প্রতি আবার গানে গানে বিজেপিকেও আক্রমণ করেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারও তাঁকে গানের মাধ্যমে নিশানা করেন। সম্প্রতি সুদীপ্ত সেনের মুখে শুভেন্দু অধিকারী কথা উঠে আসতেই শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবী করেন কুণাল ঘোষ। এই নিয়ে কুণালকে আক্রমণ শানান অসীম সরকার। এর পাল্টা জবাব দিয়ে কুনাল লিখেছিলেন, “অসীম সরকার তোমাকেই তো দরকার। তোলাবাজ শুভেন্দুর তুমি নাকি মোক্তার”।