ডিয়ার লটারি স্টল থেকে ৬টি লটারির টিকিট কিনলেন কুণাল, অনুব্রতর পথে হেঁটে কোটি টাকা পাওয়ার আশা তৃণমূল মুখপাত্রের?
বর্তমানে ডিয়ার লটারি (Dear Lottery) নিয়ে বাংলায় বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই লটারি বঙ্গ রাজনীতিতে (Bengal politics) এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। তৃণমূল নেতাদের (TMC leaders) লটারিতে টাকা জেতা নিয়ে একদিকে যখন রাজ্য তোলপাড়, তখনই সেই ডিয়ার লটারির স্টলেই দেখ মিলল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। টিকিটও কাটলেন তিনি। সতীর্থ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) পথে হেঁটেই কী তবে কোটি টাকা জেতার আশা রাখছেন কুণাল, প্রশ্ন উঠেছে ঢের।
সম্প্রতি ডিয়ার লটারির সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছে। শাসকদলের কোনও কোনও নেতা কালো টাকা সাদা করছেন লটারির মাধ্যমে, এমন অভিযোগ উঠেছে। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার পাওয়ার অভিযোগও ওঠে। শুধু তাই নয়, অনুব্রত-কন্য সুকন্যা মণ্ডলের লটারিতে প্রাপ্তিযোগের খবর পাওয়া যায়।
সিবিআই প্রথমে দাবী করেছিল যে চলতি বছরে লটারির পুরস্কারের বিপুল অঙ্কের টাকা তৃণমূলের অনুব্রত এবং সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। ওই দু’জনের দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পুরস্কার বাবদ মোট ৫১ লক্ষ টাকা ঢুকেছে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি দাবি করা হয়, সুকন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি থেকে জানা গিয়েছে, ২০ জানুয়ারি লটারির থেকে ৫০ লক্ষ টাকা জিতেছিলেন সুকন্যা।
এই ডিয়ার লটারি নিয়ে বিজেপিও বারবার সরব হয়েছে। তাদের কথায়, ডিয়ার লটারির সঙ্গে যোগ রয়েছে তৃণমূলের। কিছুদিন আগে জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিকা ডিয়ার লটারিতে প্রথম পুরস্কার জেতার পর তা নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “ডিয়ার (ভাইপো) লটারি আর তৃণমূলের মধ্য যে সম্পর্ক রয়েছে, তা আমি অনেক দিন ধরেই বলে আসছি। এটা টাকা পাচারের সহজ উপায়। সাধারণ মানুষ টিকিট কেনেন আর তৃণমূল নেতারা বাম্পার পুরস্কার জেতেন। প্রথম অনুব্রত মণ্ডল জিতলেন। এ বার তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তের স্ত্রী এক কোটি টাকা পেলেন”।
সেই শুভেন্দুর গড়েই এবার সংগঠন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এখন তাঁর বাসস্থান হলদিয়া। সেখানেই আজ, শুক্রবার সকালে হাঁটতে বেরিয়ে একটি লটারির দোকানে ঢোকেন তিনি। কুণাল বলেন, “আমি টিকিট বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলাম, কে পুরস্কার পাবে সেটা নাকি আগে থেকে সব ঠিকঠাক থাকে? জবাবে উনি বললেন, এ সব তো জানি না, আমরা শুধু বিক্রি করি। তার পরে ৩০ টাকার টিকিট কিনে ফেললাম”। লটারিতে টাকা জিতলে কী করবেন, তা অবশ্য কিছু বলেন নি তৃণমূল নেতা।