উত্তর কলকাতার অপ্রতিরোধ্য বিধায়ক, প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিনের সতীর্থ তথা রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে
দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও মানিকতলা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
বিগত বেশ কয়েকমাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বছর দশেক আগে কিডনি প্রতিস্থাপন হয় তাঁর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়ও একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলেন।
বিধানসভা নির্বাচনে কোনওদিন হারেন নি এই তৃণমূল নেতা। গত বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে ২০,২৩৮ ভোটে হারিয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। এরপর গত ২০শে মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় শপথ নেন তিনি। তাঁকে দুটি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এই তৃণমূল নেতা। ১৬ই জুলাই রাতে ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত মন্ত্রীকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন তিনি অনেকটাই সংজ্ঞাহীন। বেশ কিছুদিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি।
এরপর সেপ্টেম্বর মাসে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় সাধন পাণ্ডেকে। সেই হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিনের সতীর্থ সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Our senior colleague, party leader and Cabinet Minister Sadhan Pande has passed away today morning at Mumbai. Had a wonderful relation for long. Deeply pained at this loss. My heartfelt condolences to his family, friends, followers.
বিজ্ঞাপন— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 20, 2022
ক্রেতা সুরক্ষা দফতর তো বটেই, এরই সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্ত দফতরের মন্ত্রীও ছিলেন সাধন পাণ্ডে। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকার জেরে ওই দুই দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হঠাৎ প্রয়াণের পর ফের এই দুই দফতরের দায়িত্ব হাতবদল হয়। তবে সাধন পাণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী দফতরহীন মন্ত্রী করেই রেখেছিলেন।
বিজ্ঞাপন