West Bengal

‘মানুষের মধ্যে এত হিংস্রতা কোথা থেকে আসছে, চিহ্নিত করা খুব দরকার, আগামী প্রজন্ম এসব দেখে কী শিখবে’, রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য অর্পিতা ঘোষ

বিজ্ঞাপন

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গণহত্যা নিয়ে রাজ্য এখন তোলপাড়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে দশজনের মৃত্যু হয়েছে। বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে দায়ী করেছে। অন্যদিকে আবার শাসকদলের তরফে সেই সমস্ত অভিযোগ নাকোচ করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “যে ঘটনাটা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সভ্য সমাজে এরকম ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক জনসাধারণ চাইবে অবিলম্বে এর কিনারা হোক। যারাই এই নক্কারজনক কাজ করেছে, তাদের এমন শাস্তি দেওয়া উচিত, যাতে কেউ আবার এই ধরনের কাজ করতে সাহস না পায়, বরং ভয় পায়”।

বিজ্ঞাপন

নেত্রীর কথায়, রাজ্যে এমন ঘটনা বার বার ঘটেছে। তিনি বলেন, “কেবলমাত্র একটা ঘরে বন্ধ করে পুড়িয়ে ফেলা তো নয়! এই পশ্চিমবঙ্গে বিজন সেতুর উপরে আনন্দমার্গীদের পুড়িয়ে মারতে দেখেছি। এরকম ঘটনাও কিন্তু অজস্র আছে। আগে-পরে সব সময়ই ঘটেছে। আপনারা যদি এই ধারাবাহিকতাকে পশ্চিমবঙ্গের চরিত্র বলতে চান, আমি তাহলে বলতে পারব না। কিন্তু আমার এটা মনে হয়েছে, যে কেন পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে, সেটা যদি কোথাও আমরা চিহ্নিত করতে না পারি”।

বিজ্ঞাপন

এমন আরও ঘটনার কথা উল্লেখ করে অর্পিতা ঘোষ বলেন, “পুড়িয়ে মারাই তো কেবল নয়, এরকম আরও অনেক ঘটনা দেখেছি। নন্দীগ্রাম ঘিরে ফেলে কীভাবে মানুষকে কুপিয়ে মারা হয়েছে, সেটাও দেখেছি আমরা। আমরা সিঙ্গুরে তাপসী মালিককে পুড়িয়ে মারতে দেখেছি। এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে বার বার কেন দেখতে হচ্ছে”।

বিজ্ঞাপন

নেত্রীর মন্তব্য, “জাতিগতভাবে কোথাও একটা ভাবনার সময় এসেছে। আমরা যাঁরা নিজেদের পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক হিসেবে মনে করি, তাঁদের বুঝতে হবে কোনও একটা.. সামগ্রিক চেহারা নয়.. কোনও একটা সেক্টর থেকে এই ধরনের কাজ হচ্ছে… তা হলে সেটাই বা কেন হচ্ছে, চিহ্নিত করা কিন্তু এত সহজ নয়। এক-এক রকম কারণে হতে পারে। কারণ যাই-ই হোক না কেন, এতখানি হিংস্রতা মানুষের মধ্যে কোথা থেকে আসছে, সেটা চিহ্নিত করা আমার মনে হয় খুব দরকার। সেটা রাজনৈতিক কারণে ঘটে থাকলে রাজনীতিবিদরা শুধু করবেন না। সমাজের উপর এর প্রভাব পড়ে। সেটা আমাদের বুঝতে হবে। কেবলমাত্র রাজনীতিবিদদের দিকে ঠেলে দিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত থাকার চেষ্টা করছি। এভাবে কিন্তু হয় না। আমরা নিজেরা ঘরের মধ্যে থেকে ভাবছি ওইখানে হচ্ছে, আমার কী! তা কিন্তু নয়। সেই আঁচ সমাজের সর্বত্র এসে লাগছে। আমাদের আগামী প্রজন্ম এসব দেখে কী শিখবে”।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading