West Bengal

‘পুলিশ-প্রশাসন তৎপর হলে ঘৃণা রাজনৈতিক হিংসার নিদর্শন আটকানো যেত’, বগটুই গণহত্যাকাণ্ডকে ‘পৈশাচিক’ আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি অপর্ণা-পরমব্রতদের

বিজ্ঞাপন

অবশেষে বগটুই গণহত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব হলেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা। সপ্তাহ খানেক আগেই ঘটে যাওয়া সেই নির্মম ঘটনা নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লিখলেন তারা। এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন অপর্ণা সেন থেকে শুরু করে কৌশিক সেন, রেশমি সেন, ঋদ্ধি সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনুপম রায়, শ্রীজাত, গৌরব চক্রবর্তী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্ত, সোহিনী সরকার ও আরও অনেকে।

বিজ্ঞাপন

এই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “বিগত কয়েক মাসে রাজ‍্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনায় আমরা অত‍্যন্ত মর্মাহত এবং উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি মার্চ মাসে বীরভূমের রামপুরহাটে ঘটে যাওয়া হত‍্যাকাণ্ডটিকে যেকোনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ দ্ব‍্যর্থহীন ভাষায় পৈশাচিক আখ‍্যা দেবেন। আমরাও তার ব‍্যতিক্রম নই। ঘটনার পরবর্তীতে আপনার তত্ত্বাবধানে প্রশাসন, অনুসন্ধান এবং ক্ষতিপূরণ দানে তৎপর হয়েছে এবং এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে স্বাগত। কিন্তু তাও প্রশ্ন থেকেই যায়, এরকম একটি ঘটনার আগে পুলিস প্রশাসন তৎপর বা সক্রিয় হল না কেন? হলে হয়তো বাংলায় আরো একটি ঘৃণা রাজনৈতিক হিংসার নিদর্শন আটকানো যেত”।

বিজ্ঞাপন

শুধু বগটুই গণহত্যাকাণ্ডই নয়, এই চিঠিতে উঠে এসেছে তুহিনা খাতুনের আত্মহত্যা, আনিস খানের মৃত্যু, পানিহাটি ও ঝালদার দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনাও। প্রত্যেক ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এই চিঠিতে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই চিঠিতে স্বাক্ষর করা কারোরই কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ নেই। তবে রাজ্যের ভুলত্রুটিগুলিকে এবার শোধরানো দরকার বলেই মনে করছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

এই চিঠির একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ঋদ্ধি সেন ক্যাপশনে লেখেন, “আমরা নাগরিক সমাজের এক অংশ হিসেবে আমাদের বিবেচনা মতো পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক হিংসাত্মক ঘটনাবলীতে উদ্বিগ্ন হয়ে আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে একটি পত্র পাঠিয়েছি। এর পূর্বেও আমরা অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের মতামত প্রকাশ করেছিলাম, এবার একত্রিত হয়ে আমাদের ভাবনা ব্যক্ত করলাম। আশা করি প্রশাসন আমাদের মতামতকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন”।

বিজ্ঞাপন

এই চিঠিতে মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “ভারতের অধিকাংশ প্রান্তে এই মুহূর্তে গরিষ্ঠতাবাদী বিভাজন সৃষ্টিকারী রাজনীতির আস্ফালন। ২০২১-এর সেই রাজনীতি আমাদের বাংলাতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিল। দলমত নির্বিশেষে আমরা মনে করি আপনার জন‌্যই তা হতে পারেনি। আপনার এই সংগ্রামকে আমরা সম্মান করি এবং ভারতবর্ষে অতি-দক্ষিণপন্থী রাজনীতির অন‌্যতম প্রধান বিরোধী মুখ হয়ে ওঠার জন‌্য আপনাকে ধন‌্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই”।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading