‘টেটে নিয়োগের জন্য ২২ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা’, তৃণমূলের ‘জাগো বাংলা’য় দুর্নীতি নিয়ে নিশানা শুভেন্দুকে
এবার নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করল রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় (Jago Bangla) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে ২০১৪ সালের তিন টেট পরীক্ষার্থী শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সন্টু গঙ্গোপাধ্যায়কে (Santu Ganguly) ২২ লক্ষেরও বেশি টাকা দিয়েছিলেন। ওই প্রার্থীদের দাবী, তাদের সামনেই শুভেন্দুকে টাকা দেওয়া হয়। ‘জাগো বাংলা’র এই প্রতিবেদনে এও দাবী করা হয়েছে যে ওই তিন চাকরিপ্রার্থী তাদের অভিযোগ আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে, তৃণমূলের মননে সব জায়গায় শুভেন্দু বিরাজমান। নন্দীগ্রামের নির্বাচনের ফলাফল এখনও মেনে নিতে পারেনি। জাগো বাংলায় কী বেরবে, এটা তৃণমূল কংগ্রেস বলবে। তবে সাধারণ মানুষ সবটাই জানে। তাই যত অভিযোগ পারেন করুন। তদন্ত করান, সিট গঠন করুন। সমস্ত কিছুর জন্য প্রস্তুত আছি। অসচ্ছ্বতা, প্রতিহিংসা, ঘৃণার রাজনীতি কোন পর্যায়ে গেলে আজ এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে সেটা মানুষ বুঝতে পারছেন”।
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের এই বিষয়ে বক্তব্য, “এর আগে একজন বাঙালি সিবিআই যিনি আগে এমপিও হয়েছিলেন, তিনি প্রকাশ্যে বলেন যে তিনি বনগাঁ এলাকার একজনকে চেনেন যিনি চাকরি দেন। হাইকোর্টেও বিষয়টি উথ্থাপন হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন কার কথা বলছেন বলুন। আমি ব্যবস্থা নেব। যদি সেই ঘটনা হয় সেখানে কেউ এপিড-ডেভিড করেনি। আজকে ক্ষতিগ্রস্থ তিনজন এপিড-ডেভিড করেছেন। কোর্টে গিয়ে বলেছেন কারা-কারা টাকা নিয়েছেন। ঘটনাটা শুভেন্দু অধিকারী বলে নয়। এটা সুস্পষ্ট একজনের অভিযোগ। তাই তদন্ত হওয়া উচিত”।
অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে জানান, “জাগো বাংলা কোনও সংবাদ পত্র নয়। প্যাম্পপ্লেট। ২০১৪ সালে তিনজন চাকরি প্রার্থীর থেকে ২২ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরি করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ কোনও এক সন্তু। একসময় তৃণমূলের বড় নেতা ছিলেন শুভেন্দু। তাঁর পোস্টে এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। তাই সেই সময় তৃণমূলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী টাকা নেওয়ার ব্যবস্থা করল”।
সুজনের প্রশ্ন, “২০১৬ সালে তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী করলেন কেন? সব জেনে বুঝে চুপ করে থেকেছেন। এখন জাগো বাংলা সেইটাই প্রকাশ করল যে ২০১৪ সালের টাকা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে গিয়েছে। আর বিষয়টি যখন জানা তখন থানায় এফআইআর করলেই হয়। তাহলে তদন্ত শুরু হবে”।