‘আমি তো দু’জনকেই খুব ভালোবাসি’, একসঙ্গে দুই প্রেমিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করলেন যুবক
ভালোবাসা যে কোনও বাধা-বিপত্তি মানে না, সেকথা সকলেই জানে। কিন্তু তা বলে একসঙ্গে দু’জনকে বিয়ে? মানে এমনও কী হয়? দুই প্রেমিকাকেই সামনে দাঁড় করিয়ে কী বলা যায় যে ‘আমি তোমাদের দু’জনকেই ভালোবাসি’।
না, এটা কোনও সিনেমার প্রেক্ষাপট নয়। এমনই একটি ঘটনা ঘটল বাস্তবে। একই সঙ্গে দুই প্রেমিকার সঙ্গে সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখলেন যুবক। আর তা বাস্তবায়িত করতে একই সঙ্গে দু’জনকে বিয়েও করলেন তিনি। আর সবটাই হয়েছে তিনজনেরই সম্মতিতে। এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটল ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগায়।
জানা গিয়েছে, কুসুম লাকরা এবং শ্বাতী কুমারী নামের দুই তরুণীই প্রেমে পড়েন সন্দীপ ওরাওঁয়ের। সন্দীপও দু’জনকেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন। কিন্তু দু’জনকেই কি জীবনসঙ্গী করা সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব তো হল। বান্দা গ্রামে পাড়া, প্রতিবেশী এবং পরিবারের সদস্যদের সামনেই দুই পাত্রীকে বিয়ে করলেন সন্দীপ। তিনজনে একসঙ্গে সুখী জীবন কাটাতে প্রস্তুত তাঁরা। কেউই এ বিষয়ে কোনও আপত্তি জানান নি বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, গত তিন বছর ধরে সন্দীপ ও কুসুম লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। গত বছর সন্দীপ ঝাড়খণ্ড থেকে আসেন বাংলায়। এখানে তিনি এক ইটভাটায় কাজ শুরু করেন। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় শ্বাতীর। সন্দীপের ভালোবাসা অন্যদিকে মোড় নেয়।
একই সঙ্গে কাজ করতেন সন্দীপ ও শ্বাতী। ধীরে ধীরে কুসুমের সঙ্গে সন্দীপের সম্পর্কের চিড় ধরা শুরু হয়। আর এদিকে শ্বাতীর সঙ্গে ক্রমেই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে শ্বাতীর। কাজের বাইরেও প্রায়ই দেখা করতে থাকেন তারা। এরপর এই খবর পৌঁছে যায় দু’জনের পরিবারেই। কোনও পরিবারই এই সম্পর্ক প্রথমে মেনে নিতে রাজি হয় নি।
কিন্তু সন্দীপ ও শ্বাতী একে অপরকে ছেড়ে থাকতে নারাজ। অনেক ঝগড়াঝাঁটি, তর্ক-বিতর্কের পর অবশেষে একটা মীমাংসা করার জন্য ডাকা হয় পঞ্চায়েত। সেই পঞ্চায়েতেই ঠিক হয় যে দুই প্রেমিকাকেই বিয়ে করবেন সন্দীপ। এই রায় নিয়ে কেউ আপত্তি জানায় নি। তিনজনের সম্মতিতেই সম্পন্ন হয় এই অন্যরকমের বিয়ে।