ঠিক যেন পাশের বাড়ির মেয়েটি, মহানবমীতে সকলের সঙ্গেই ধুনুচি নাচে মেতে উঠলেন মিমি
এর আগেও তাকে দেখা গিয়েছে নিজের আবাসনের পুজোতে নানা রকম কাজে অংশগ্রহণ করতে। এবার তার দেখা মিলল নবমীর সন্ধ্যায় একেবারে ধুনুচি হাতে। নিজের আবাসনের পুজোয় আর পাঁচজনের মতোই ধুনুচি নাচে মাতলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। পুজোর দিনে তিনি ধরা দিলেন একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ের রূপেই। তিনি যেন সাংসদ বা অভিনেত্রী মিমি নন, একবারেই আর পাঁচজনের মতোই আবাসনের এক বাসিন্দা।
এদিন সাদা কুর্তি ও পালাজোতে মিমি হয়ে উঠেছিলেন অনন্য। নবমীর সন্ধ্যায় মায়ের সামনে তুমুল ধুনুচি নাচ করে সকলকে চমকে দিলেন তিনি। কিন্তু অবশ্যই সেটা সমস্ত রকম সুরক্ষা বিধি মেনেই। নাচের সময়ও তার মুখে মাস্ক দেখা গেল। এছাড়াও পুজো মণ্ডপে রাখা হয়েছিল স্যানিটাইজার। পুজোর পর স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে প্রসাদ নিতেও দেখা যায় তাকে। কখনও আবার তার দেখা মিলল আবাসনের সব খুদেদের সঙ্গে। তাদের সাথে চুটিয়ে আনন্দ করতেও দেখা যায় তাকে।
এই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে মিমি চক্রবর্তীর কসবার আবাসনের পুজো হয়েছে সম্পূর্ণ সুরক্ষাবিধি মেনেই। এই বছর তাদের পুজোতে বাইরের লোকজনের যাওয়া নিষেধ। এবার তাই আবাসনের প্রতিবেশীদের সঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতেছিলেন মিমি। অষ্টমীর দিনও নিজের আবাসনের পুজোতেই অঞ্জলি দেন সাংসদ অভিনেত্রী। সব কিছুই করেছেন সমস্ত বিধিনিষেধ মেনেই। এমনকি, তার বাবাকে পুজো মণ্ডপে নিজের হাতে মাস্ক পরিয়ে দিতেও দেখা যায় মিমিকে। তার সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তার অনুরাগীদের ভীষণ পছন্দ হয় বাবা- মেয়ের এই বন্ধন।
সম্প্রতিই, ‘বাজি’ ছবির শুটিং সেরে লন্ডন থেকে ফিরেছেন অভিনেত্রী। পঞ্চমীতেই মুক্তি পেয়েছে তার নতুন ছবি ‘এস ও এস কলকাতা’। এই ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাকে। এছাড়াও, ওইদিনই মুক্তি পেয়েছে ‘ড্রাকুলা স্যার’ ছবিটিও। এই ছবিতে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে।