বলিউডই খুন করেছে সুশান্তকে, ফেসবুক ভিডিওতে বোমা ফাটালেন কঙ্গনা
ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেছে কিন্তু বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনা এখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছেনা মানুষের। এত হাসিখুশি একটা মানুষ যিনি বলিউডের বেশ কয়েকটি বড় ছবিতে সফলভাবে অভিনয় করেছিলেন তিনি হঠাৎ এরকম চূড়ান্ত পথ কেন বেছে নিলেন এই নিয়ে চলছে দিনভর তর্ক-বিতর্ক। এর মধ্যেই ফেসবুকে কিছুক্ষণ আগেই ফাটিয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।
বরাবরই প্রতিবাদী বলে নাম রয়েছে কঙ্গনার। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিলেন বলিউডে শুধুমাত্র স্বজনপোষণ চলে। সেই সময় তাঁকে ঘিরে অনেক বিতর্কও হয়েছিল। এমনকি কঙ্গনাকে অনেকে মানসিক রোগী বলেও দাগিয়ে দিয়েছিলেন। এবার সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর সেই প্রসঙ্গ আরেকবার সামনে আনলেন কঙ্গনা এবং সেইসঙ্গে তুলে ধরলেন রুপোলি পর্দার আরও নানা মিথ্যাচারকে।
মাত্র দুই মিনিটের ভিডিওতে কঙ্গনা যা বলেছেন তা নতুনভাবে বিতর্ক শুরু হওয়ার মতই। তিনি বলছেন এই যে আমরা সুশান্তকে সবাই বলছি যে তোমার মানসিক জোর কম, তোমার আরো সাহস রাখা উচিত ছিল, এগুলো কি ঠিক? যে মানুষটা সারা ভারতের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সপ্তম স্থান অধিকার করে তার মাথা কি এতটাই কমজোর? তিনি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন, তিনি তো তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টগুলির মাধ্যমে বোঝাতেও চেয়ে ছিলেন যে তিনি মানসিকভাবে কষ্টে রয়েছেন তাঁর সঙ্গে কথা বলা হোক কিন্তু বলিউডের কেউ কি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে? সেই মানুষটা বারবার বলছে যে বলিউডে তার কোন গডফাদার নেই। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সুশান্ত বলেছেন যে তাকে বলিউডের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হতো না। এর থেকে বোঝা যায় যে সুশান্ত নিজেকে বলিউড উচ্ছিষ্ট মনে করতেন তাহলে সুশান্ত আত্মহত্যার পিছনে বলিউডের কি কোনো দায় নেই? প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।
কঙ্গনা এখানে নিজের জীবনেরও উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন তিনি নিজে যেসব ছবি পরিচালনা করেছেন সেগুলো সুপারহিট হলেও সে গুলোকে ফ্লপ বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবং তার সেই সিনেমাগুলোকে পর্যাপ্ত শো দেওয়া হয়নি এবং তিনি যাতে সিনেমা পরিচালনা না করতে পারেন তার জন্য তার নামে ছয়খানা মামলা করা হয়েছে।
‘কাই পো চে’-র মত সিনেমা দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন সুশান্ত এরপরে কেদারনাথ, ধোনি সহ বিভিন্ন সিনেমায় নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি, সেখানে পুরস্কারের মঞ্চে তিনি পুরস্কার পান না কিন্তু গাল্লি বয় এর মত একটি তথাকথিত ‘ফালতু’ সিনেমা এতগুলো পুরস্কার কি করে নিয়ে যায় বুঝতে পারছেন না কঙ্গনা।
তিনি কর্পোরেট মিডিয়াকেও একহাত নিয়েছেন এই ভিডিওতে। বড় বড় পরিচালকদের বা প্রোডাকশন হাউজের চামচা সাংবাদিকরা সুশান্তকে বারবার ফেলিওর ঘোষণা করছিলেন। তাকে সাইকোটিক, নিউরোটিক, অ্যাডিক্ট বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি কঙ্গনা কেউ নাকি ছাড়েননি এই সাংবাদিকরা। তাকেও পরোক্ষে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিচ্ছিলেন এরা এমনটাই বলেছেন কঙ্গনা।
তাই সুশান্তের মৃত্যুকে তিনি সাফ জানিয়েছেন প্ল্যানড মার্ডার। আর এই মার্ডার করেছে বলিউডই। তার আক্ষেপ, সুশান্ত এই কথাগুলো কি সত্যি মেনে নিয়েছিলেন তাই শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পারলেন না।
ইতিমধ্যে ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলিউডের কোনো তারকার প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি তবে এই নিয়ে যে প্রবল ঝড় উঠতে চলেছে বি-টাউনে তা বলাই বাহুল্য।