জি নিউজের ২৮ জন কর্মচারী করোনা আক্রান্ত
এবার জী নিউজের প্রতিষ্ঠাতা সুধীর চৌধুরীর বক্তব্য ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। সোমবার তাঁর করা একটি টুইটে জানাযায় জি নিউজের ২৮ জন কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন এবং তারা কাজে আসছেন কারণ তারা নাকি কোম্পানির কাছে দায়বদ্ধ। তাই যারা ঘরে বসে জী নিউজ এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন তারা যেন তা থেকে বিরত থাকেন এরকমই অনুরোধ করেছেন সুধীর।
শুক্রবার কোম্পানির একজন করোনা আক্রান্ত হন তারপরেই কোম্পানি সিদ্ধান্ত নেয় বাকি কর্মচারীদেরও করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেখানেই আঠাশ জনের করোনা ধরা পড়েছে।
টুইটারে জি নিউজের সম্পাদক সম্পাদক সুধীর চৌধুরী লিখেছেন, “এটি কঠিন সময়। জী নিউজে আমার ২৮ জন সহকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কৃতজ্ঞতাবশত সকলেই ভাল আছেন, বেশিরভাগই উপসর্গহীন। আমি তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি এবং তাদের সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বকে সালাম জানাই। “
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জি নিউজ টিমকে আপাতত একটি বিকল্প সুবিধায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং স্যানিটাইটসেশনের জন্য অফিস, নিউজরুম এবং স্টুডিওগুলি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
“আমরা চক্রটি ভাঙ্গার জন্য সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো অনুসরণ করছি এবং সমস্ত সরকার এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় সমস্ত স্বাস্থ্য প্রোটোকল এবং অফিসিয়াল গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে,” জী থেকে জানানো হয়েছে।
চ্যানেলটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে তাদের 2500 কর্মচারী রয়েছে এবং তারা তাদের প্রত্যেকের সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাকি কর্মচারীদের COVID-19 টেস্টিং অব্যাহত থাকবে বলেও জি মিডিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, “এটি চ্যালেঞ্জিং সময় তবে কোভিড -১৯ দলটির মনোবল কাঁপাতে সক্ষম হয়নি। জি মিডিয়া এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে , যথারীতি. আমরা আমাদের দর্শকদের আশ্বাস দিচ্ছি যে আমাদের নির্ভীক কভারেজ অব্যাহত থাকবে। এই জাতীয় চ্যালেঞ্জগুলি অত্যন্ত আন্তরিকতা এবং তুলনাহীন আবেগের সাথে আমাদের দায়িত্ব পালনের আমাদের সংকল্পকে ভঙ্গ করতে সক্ষম হবে না। আমরা আমাদের সমস্ত কর্মচারীদের দ্রুত পুনরুদ্ধার কামনা করি।”
এখানেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেও কী করে সুধীর চৌধুরী কর্মচারীদের অফিসে আসতে বলেন এই প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। যেখানে কেন্দ্র থেকে রাজ্য সমস্ত সরকার করা স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে যার প্রধান শর্ত হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সেখানে সংবাদমাধ্যমের একজন দায়িত্ববান উচ্চপদস্থ ব্যক্তির এইরকম একটি পদক্ষেপ দেশজুড়ে রীতিমতো নিন্দার ঝড় তুলেছে। এই ২৮ জন থেকে কোম্পানির বাকিদেরও সংক্রমিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে সেই কথা জেনেও কি করে সুবীর এই পদক্ষেপ নিলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সংবাদ মাধ্যমে কাজ করলে জীবনের ঝুঁকি নিশ্চয়ই নিতে হয় তাই বলে এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত হয়েও অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে সুধীর কোনোভাবেই ঠিক করেননি বলছেন সবাই।