আসছে এক দশকের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়, আমফান! কখন আছড়ে পড়বে সে বাংলা ভূ-খন্ডে? দেখে নিন-
তার উপস্থিতি সে গতকাল থেকেই জানান দিতে শুরু করেছে। হাওয়ার দাপট ক্রমশ বাড়ছে। মঙ্গলবারই সুপার সাইক্লোন’ থেকে এক ধাপ নেমে সে পরিণত হয়েছে ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন’-এ। কিন্তু এই কথায় হাঁফ ছাড়ার জায়গা নেই। প্রলয়ঙ্করী তাণ্ডবই ঘটাতে চলেছে আম্ফান। যে ভাবে শক্তি সঞ্চয় করেছে, তা নজিরবিহীন, বলছেন আবহবিদরা। এই মুূহূর্তে দিঘা থেকে মাত্র ২৮০ কিলোমিটার দূরে দা়ঁড়িয়ে ফুঁসছে দশকের সবথেকে শক্তিধর ঘূর্ণীঝড় আম্ফান। আবহবিদদের কথা অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ বুধবার দুপুর ৩টে ১০ মিনিট নাগাদই ভূ- খন্ডে আছড়ে পড়তে চলেছে সে।
আবহবিদরা বলেছেন, আম্ফান পশ্চিমবঙ্গে প্রথম আঘাত হানবে সুন্দরবন অঞ্চলের সাগরদ্বীপে। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ১৫৫ মিটার থেকে ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। সাগরদ্বীপ ছাড়াও ঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে কুলতলি, গোসাবা, বাসন্তী প্রভৃতি অঞ্চলে। উত্তর চব্বিশ পরগণার হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা,মন্দারমনি,তাজপুর -সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মঙ্গলবারই ভারতীয় আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয় আম্ফানের প্রভাবে বহু তাল, নারকেল জাতীয় গাছ উপড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। বাংলা ও ওড়িশা মিলে নষ্ট হতে চলেছে কয়েক লক্ষ কাঁচা বাড়ি। ক্ষতি হবে শস্যেরও।
বুধবার ভোর রাত থেকেই আমফানের কারণে জেলায় জেলায় দুর্যোগ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী গতকালই রাজ্যবাসীকে অনুরোধ করেন এই দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়ায় রাজ্যবাসী যেন আজ দুপুর ১২ টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত বাড়ি থেকে না বেরোন। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে চার লক্ষের বেশি মানুষকে উদ্ধার করে অস্থায়ী ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। এসে পৌঁছেছে নৌসেনার বিশেষ দলও।